মিয়ানমারে ভয়াবহ ভূমিকম্পে ধসে পড়ল সেতু
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ০৩:১৮ অপরাহ্ন, ২৮শে মার্চ ২০২৫

মিয়ানমারে শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। রিখটার স্কেলে এই কম্পনের মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৭। পরে সেখানে আরেকটি কম্পন অনুভূত হয়। দ্বিতীয় ওই কম্পনের মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ৪। ভয়াবহ এই ভূমিকম্পে দেশটিতে ইরাবতী নদীর ওপর নির্মিত ঔপনিবেশিক আমলের একটি সেতু ধসে পড়েছে। এছাড়া রাজধানী নেপিদোর পাশাপাশি মান্দালয় শহরের বেশ কিছু ভবন ভেঙে পড়েছে বলেও ইতোমধ্যে খবর পাওয়া গেছে।
শুক্রবার (২৮ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে গণমাধ্যম দ্য ইরাবতী।
মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএস জিওলজিক্যাল সার্ভে (ইউএসজিএস) অনুসারে, মিয়ানমারে ৭.৭ এবং ৬.৪ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। এছাড়া থাইল্যান্ড এবং এই অঞ্চলের অন্যান্য স্থানেও শক্তিশালী কম্পন অনুভূত হয়েছে বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন: সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তায় বাংলাদেশের পদক্ষেপকে স্বাগত জানাল যুক্তরাষ্ট্র
স্থানীয় সময় দুপুর ১২:৫০ মিনিটে সাগাইং শহরের ১৬ কিলোমিটার (১০ মাইল) উত্তর-পশ্চিমে ১০ কিলোমিটার গভীরে এই ভূমিকম্প আঘাত হানে বলে ইউএসজিএস জানিয়েছে। গৃহযুদ্ধের মধ্যে থাকা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এই দেশটিতে ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে তাৎক্ষণিকভাবে কোনও খবর পাওয়া যায়নি।
তবে বার্তাসংস্থা এএফপি মিয়ামারের রাজধানী নেপিদো থেকে জানিয়েছে, ভূমিকম্পের তীব্রতায় রাস্তাঘাট স্তব্ধ হয়ে গেছে এবং ভবন থেকে ছাদের টুকরো ভেঙে পড়েছে।
অন্যদিকে গণমাধ্যম দ্য ইরাবতী জানিয়েছে, ভয়াবহ এই ভূমিকম্পে ৯১ বছর বয়সী আভা সেতু ধসে পড়েছে। পুরাতন সাগাইং সেতু নামেও পরিচিত এই সেতুটি মান্দালয় এবং সাগাইং অঞ্চলের মধ্যে ইরাবতী নদীর ওপর বিস্তৃত। ঔপনিবেশিক আমলের এই সেতুটি ব্রিটিশদের দ্বারা নির্মিত হয়েছিল।
আরও পড়ুন: গাজায় নারকীয় তাণ্ডব ইসরায়েলের, নিহত ছাড়িয়ে গেল ৩৪০
৭.৭ মাত্রার এই ভূমিকম্পে মান্দালয়, নেপিদো এবং অন্যান্য এলাকার বেশ কয়েকটি ভবন ধসে পড়েছে বলেও জানিয়েছে দ্য ইরাবতী।
ইউএসজিএস অনুসারে, মিয়ানমারে ভূমিকম্প তুলনামূলকভাবে সাধারণ ঘটনা। দেশটিতে ১৯৩০ থেকে ১৯৫৬ সালের মধ্যে দেশের কেন্দ্রস্থল দিয়ে উত্তর থেকে দক্ষিণে বিস্তৃত সাগাইং ফল্টের কাছে ৭.০ মাত্রার বা তার বেশি ছয়টি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছিল।
২০১৬ সালে মধ্য মিয়ানমারের প্রাচীন রাজধানী বাগানে ৬.৮ মাত্রার একটি শক্তিশালী ভূমিকম্পে তিনজন নিহত হয়েছিলেন। ওই কম্পনে পর্যটন কেন্দ্রের চূড়া ভেঙে পড়ে এবং মন্দিরের দেয়াল ধসে পড়ে।
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দরিদ্র এই দেশটির বিশেষ দেশটির করে গ্রামীণ ও প্রত্যন্ত প্রদেশগুলোতে চিকিৎসা ব্যবস্থা খুবই দুর্বল।
এমএল/