গাজায় নারকীয় তাণ্ডব ইসরায়েলের, নিহত ছাড়িয়ে গেল ৩৪০
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ১২:২৮ অপরাহ্ন, ১৮ই মার্চ ২০২৫

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের বিমান হামলায় নিহত ফিলিস্তিনিদের সংখ্যা ৩৪০ ছাড়িয়ে গেছে। যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে চালানো এই হামলায় নিহত ফিলিস্তিনিদের মধ্যে অনেকেই নারী ও শিশু। এমনকি ইসরায়েলের এই তাণ্ডব থেকে রক্ষা পায়নি নিজের বাড়িতেই অবস্থান করা ফিলিস্তিনি অন্তঃসত্ত্বা নারীও।
মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) এই তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল আল জাজিরা।
আরও পড়ুন: ‘মনে হচ্ছিল যেন কেয়ামত নেমে এসেছে’
চ্যানেলটি তাদের সরাসরি সম্প্রচারিত আপডেটে জানিয়েছে, গাজায় যুদ্ধবিরতির অবসান ঘটিয়েছে ইসরায়েল এবং এরপর অবরুদ্ধ এই উপত্যকা জুড়ে বিমান হামলা শুরু করেছে। বর্বর এই হামলায় এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ৩৪২ জন ফিলিস্তিনির নিহত এবং অন্যান্য আরও অনেকের আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
এদিকে গাজার অবরুদ্ধ এবং অরক্ষিত বেসামরিক নাগরিকদের ওপর “বিশ্বাসঘাতকতাপূর্ণ” হামলার জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। হামাস বলছে, গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তি বাতিল করার জন্য ইসরায়েল অবরুদ্ধ ও অরক্ষিত বেসামরিক নাগরিকদের ওপর “বিশ্বাসঘাতকদাপূর্ণ” আক্রমণ চালিয়েছে।
এছাড়া আরেক ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী প্যালেস্টানিয়ান ইসলামিক জিহাদও ইসরায়েলের বিরুদ্ধে “ইচ্ছাকৃতভাবে যুদ্ধবিরতি ভঙ্গ” করার অভিযোগ করেছে। এই যুদ্ধবিরতি চলতি বছরের ১৯ জানুয়ারি থেকে কার্যকর ছিল।
আল জাজিরা বলছে, গাজার মধ্যাঞ্চলে ইসরায়েলি হামলায় এক গর্ভবতী নারী নিহত হয়েছেন। গাজা থেকে আল জাজিরার মারাম হুমাইদ বলেছেন, আজ ভোরে নিহত তিন শতাধিক ফিলিস্তিনির মধ্যে একজন গর্ভবতী নারী এবং তার শিশুও রয়েছেন।
গাজার মধ্যাঞ্চলের নুসাইরাতের নিজেদের বাড়িতে ইসরায়েলের হামলায় তারা নিহত হয়েছেন বলেও হুমাইদ জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানে ট্রেন জিম্মি: দেড় শতাধিক যাত্রী উদ্ধার, নিহত ২৭
এই পরিস্থিতিতে ইসরায়েলকে জবাবদিহি করার জন্য হামাস যুদ্ধবিরতি মধ্যস্থতাকারীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে এবং আরব লীগ ও ইসলামি সহযোগিতা সংস্থা (ওআইসি)-কে গাজা উপত্যকায় আরোপিত অন্যায্য অবরোধ ভাঙতে ফিলিস্তিনিদের সমর্থন করার আহ্বান জানিয়েছে।
একইসঙ্গে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদকে জরুরি বৈঠক করে একটি প্রস্তাব গ্রহণ করার আহ্বান জানিয়েছে হামাস, যাতে ইসরায়েলকে তার আগ্রাসন বন্ধ করতে বাধ্য করা যায়।
আরএক্স/