নোয়াখালীতে ‘চোর সন্দেহে’ যুবককে পিটিয়ে হত্যা


Janobani

জেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৪:৪৫ পিএম, ২২শে আগস্ট ২০২৫


নোয়াখালীতে ‘চোর সন্দেহে’ যুবককে পিটিয়ে হত্যা
ছবি: জনবাণী ডেস্ক

নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরেকজন।


বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) রাতে উপজেলার জাহাজমারা ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের চর হেয়ার আসাদ নগরে এ ঘটনা ঘটে বলে হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম ‌ আজমল হুদা জানান। তিনি বলেন, এ ঘটনায় এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ।


নিহত লোকমান হোসেন (৩৫) শেরপুরের সদর উপজেলার চকপাড়া গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে। তিনি বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড-পিডিবির ঠিকাদারের কর্মী হিসেবে কাজ করতেন।


আহত লোকমানের সঙ্গী মোস্তাফিজুর রহমান (২৮) শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার পূর্ব জিনিয়া গ্রামের বাসিন্দা।


এ ঘটনায় আটক তারেক আজিজ (৩৫) জাহাজমারা ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের চর হেয়ার গ্রামের কামাল উদ্দিনের ছেলে। পেশায় তিনি ইলেকট্রিক মিস্ত্রি।


আরও পড়ুন: সমুদ্রবন্দরে তিন নম্বর সতর্ক সংকেত বহাল


ঘটনার বর্ণনা দিয়ে পুলিশ জানায়, লোকমান ও মোস্তাফিজুর বিদ্যুৎ সরবরাহ লাইনের কাজ শেষ করার পর অপ্রয়োজনীয় ১৬০ কেজি মালামাল বিক্রির জন্য বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে জাহাজমারা ইউনিয়নের আসাদ নগরে ভাঙারি ব্যবসায়ী দুলালের দোকানে যান। এ সময় স্থানীয় ইলেকট্রিক মিস্ত্রি তারেক আজিজসহ তিনজন মিলে তাদের আটক করেন এবং রশি দিয়ে বেঁধে ফেলেন। তারা বলতে থাকেন, এসব মালামাল চুরি করে আনা হয়েছে।


এক পর্যায়ে তারেক লোহার দণ্ড দিয়ে লোকামানের ডান হাতে ও পিঠে আঘাত করেন। এ সময় দুই শতাধিক উৎসুক লোক সেখানে ভিড় করেন। খবর পেয়ে পুলিশও ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাদের দুজনকে উদ্ধার করে। এ সময় লোকমান ঘামাতে থাকেন এবং পায়খানা-প্রশ্রাব করে দেন। দ্রুত পুলিশ তার বাঁধন খুলে দেয়। কিছুক্ষণের মধ্যে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।


ওসি আজমল হুদা বলেন, বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) রাত ৮টায় মরদেহ উদ্ধার করা হয়। 


শুক্রবার (২২ আগস্ট) দুপুরে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।


খবর পেয়ে পুলিশের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে যান জানিয়ে তিনি আরও বলেন, প্রাথমিক তদন্ত ও প্রত্যক্ষদর্শীর বর্ণনা অনুযায়ী লোকমানকে মারধরের প্রমাণ পাওয়া গেছে। তার পিঠে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।


এ ঘটনায় পিডিবি, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বা নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে পরবর্তীতে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলেও জানায় পুলিশ।


ঘটনাস্থল থেকে বিক্রি করতে নেওয়া ১৬০ কেজি মালামাল উদ্ধার করা হয়েছে।

এসএ/