দেশের প্রথম অনলাইনে সেচ লাইসেন্স সেবা লালমনিরহাটে


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:৪৬ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২


দেশের প্রথম অনলাইনে সেচ লাইসেন্স সেবা লালমনিরহাটে

কোন প্রকার হয়রানি ছাড়া ঘড়ে বসে। কৃষকদের সেচ লাইসেন্স নিশ্চিত করতে লালমনিরহাট সদর উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা মাহমুদা মাসুম ও বিএডিসির উপ-সহকারী প্রকৌশলী রাশেদুল ইসলামের যৌথ প্রচেষ্টায় দেশে প্রথম অনলাইন সেবা চালু করে সেচ লাইসেন্স করতে উদ্বুদ্ধ করছেন কৃষকদের।

প্রতি বছর এ জেলায় খরা মৌশুমে সেচের অভাবে অনেক ক্ষেত নষ্ট হয় তাই চাষিরা যেনো বৈদ্যুতিক মোটর লাগিয়ে সহজেই জমিতে সেচ দিতে পারেন এজন্য অনলাইন সেবা চালু করেছেন তারা। আর অনলাইন সেবা পেয়ে সন্তুষ্ট কৃষকেরা।

লালমনিরহাটের কৃষকদের সবচেয়ে লাভজনক ফসল আমন ধানসহ অন্যান্য ফসলের চাষ বৃষ্টির উপর নির্ভরশীল হওয়ায় অনেক কৃষকের বীজতলা নষ্ট হয়ে যায় খরা মৌশুমে। কেউ আবার বাড়তি টাকা খরচ করে ডিজেল চালিত স্যালো মেশিনের সেচ দিয়ে লোকসানের মুখে পরেন।
আগে কৃষকদের সেচ পাম্পের লাইসেন্স নিতে ঘুড়তে হতো এক দপ্তর থেকে আরেক দপ্তরের টেবিলে টেবিলে। নানা জটিলতায় সেচ লাইসেন্স নিতে আগ্রহ  হারাতেন কৃষকেরা। ফলে অনেক কৃষক চাষাবাদের জন্য ডিজেল চালিত অগভীর সেচ পাম্প দিয়ে প্রতি বিঘা জমিতে সেচ দেওয়ার জন্য অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় করতে বাধ্য হতেন।

লালমনিরহাট সদর উপজেলার কুলাঘাট ইউনিয়নের  চর খাটামারি গ্রামের জুরান আলী জানান, আগে লাইসেন্স নিতে উপজেলা চেয়ারম্যান, বিদ্যুৎ অফিস, বিএডিসি অফিসে যেতে হতো। এখন আর হয়রানি হতে হচ্ছেনা তাদের। বাজারের কম্পিউটারের দোকান থেকে অনলাইনে আবেদন করে সেচ লাইসেন্স পেয়েছেন তিনি।

গত বছর ২৯ ডিসেম্বর লালমনিরহাট সেচ যন্ত্রের লাইসেন্স প্রদান কার্যক্রম ডিজিটাল করনের উদ্বোধন করেন, লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক মোঃ আবু জাফর। ঐ সময় উপস্থিত ছিলেন লালমনিরহাট সদর উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা মাহমুদা মাসুম, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান সুজন, বিএডিসি'র নির্বাহি প্রকৌশলী হুসাইন মোহাম্মদ আলতাফ ও অন্যান্য দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ। 

কৃষকদের দির্ঘ দিনের এ দুর্দশা লাঘবের জন্য সেচ লাইসেন্সের সকল প্রক্রিয়া এখন অনলাইনেই সম্পন্ন হচ্ছে লালমনিরহাটের সদর উপজেলায়।

লালমনিরহাট সদর উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা মাহমুদা মাসুম ও বিএডিসি লালমনিরহাটের উপ-সহকারী প্রকৌশলী (ক্ষুদ্রসেচ) মোঃ রাশেদুল ইসলামের যৌথ প্রচেষ্টায়, ইতোমধ্যেই এই উপজেলার কৃষকরা অনলাইনে এ সুবিধা পেতে শুরু করেছন। আর কোন প্রকার হয়রানি ছাড়াই এ সুবিধা পেয়ে খুশি প্রত্যন্ত পল্লীর কৃষকেরা।

এ সেবা চালু থাকলে একে লাভবান হবেন এ অঞ্চলের কৃষক পাশাপাশি রাজস্ব আয়ও বাড়বে সরকারের। এমনটা আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। 

বিএডিসি লালমনিরহাটের উপ-সহকারী প্রকৌশলী রাশেদুল ইসলাম এ বিষয়ে বলেন, অনলাইনে সেচ লাইসেন্স এর সেবা দেওয়ায় এ অঞ্চলের কৃষকদের আর হয়রানি হতে হবেনা। ঘড়ে বসেই তারা এ সেবা গ্রহন করতে পারবেন। 

আর লালমনিরহাট সদর উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা  মাহমুদা মাসুম বলেন, লালমনিরহাট সদর উপজেলার কৃষকদের আর সেচ লাইসেন্স এর জন্য বিভিন্ন দপ্তরে যাওয়ার প্রয়োজন হবেনা। এতে করে কোনো দালালের খপ্পরে পরার ঝুঁকি থাকছেনা। তাছাড়া, কিউ আর কোড থাকায় এখন আর কারো জালিয়াতি করার সুযোগ নেই।

তাই দেশের সকল উপজেলার সংশ্লিষ্টদের প্রতি সেচ লাইসেন্স সেবা অনলাইনে দেওয়ার আহবান জানান তিনি।

এসএ/