ভালুকায় ভুল চিকিৎসায় গর্ভের বাচ্চা নষ্ট!


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:৪৬ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২


ভালুকায় ভুল চিকিৎসায় গর্ভের বাচ্চা নষ্ট!

ময়মনসিংহের ভালুকায় মোহাম্মদীয়া মডেল হাসপাতালে চিকিৎসক ডাঃ রাইকাইয়া আক্তারের ভুল চিকিৎসায় রাবেয়া আক্তার রেভা (২০) নামে এক গর্ভবতী মায়ের বাচ্চা নষ্ট হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় নারীর স্বামী রিফাত হাসান সজীব ভালুকা মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। ডাঃ রোকাইয়া আক্তার ভালুকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মরত আছেন। 

অভিযোগ সূত্রে জানাযায়, উপজেলার ৬নং ভালুকা ইউনিয়নের খারুয়ালী গ্রামের বাসিন্দা রিফতা হাসান সজীবের তিন মাসের অন্তঃসত্বা স্ত্রী রাবেয়া আক্তার রেভাকে নিয়ে ১৯এপ্রিল ভালুকা পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের সালাহ উদ্দিন প্লাজায় অবস্থিত মোহাম্মদীয়া মডেল হাসপাতালে নিয়ে আসেন। হাসপাতালের গাইনি, প্রসূতি ও বন্ধাত্ব বিশেষজ্ঞ সার্জন ডাঃ রোকাইয়া আক্তার রোগী দেখে নিজ  হাসপাতালে আল্ট্রাসনোগ্রাম করার জন্য আব্দুল্লাহ আল নোমানের কাছে পাঠান। আল্ট্রাসনোগ্রাম করার পর ডাক্তার জানান রেভার বাচ্চা পেটে নেই তল পেটে ইনফেকশন হয়েছে বলে ব্যবস্থাপত্র দেন। সেই ব্যবস্থপত্রের ওষুধ সেবন করলে রেভা গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে  তাকে ময়মনসিংহ সদরের পপুলার হাসপাতালে নিয়ে যায়। ওই হাসপাতালে নেয়ার পর পুনঃরায় বিভিন্ন পরীক্ষা নিরিক্ষা করে জানতে পারেন ভুল চিকিৎসার জন্য গর্ভের বাচ্চা নষ্ট হয়ে রক্ষন হচেছ। গত ৪মে থেকে অদ্যবধি রেভা ময়মনসিংহ লিভার্টি প্রাঃ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

রিফাত হাসান সজীব জানান,মোহাম্মদীয়া মডেল হাসপাতালের ডাঃ রোকাইয়া আক্তারের ভুল চিকিৎসায় আমার স্ত্রীর পেটের বাচ্চা নষ্ট হয়েছে। আমার স্ত্রীকে নিয়ে বর্তমানে লিভার্টি হাসপাতালে রয়েছি।  মোহাম্মদীয়া মডেল হাসপাতালের দুই ডাক্তারের বিরুদ্ধে ভালুকা মডেল থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছি।

বিষয়টি ব্যাপারে জানার জন্য ডাঃ রোকাইয়া আক্তারের মোবাইল নাম্বার ০১৭১৪-০৭৭৪৮৬ বার বার ফোন দিয়ে রিসিফ না করায় উনার মন্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। 

ডাঃ রোকাইয়া আক্তারের স্বামী মোহাম্মদীয় মডেল হাসপাতালের পরিচলক আব্দুল রাজ্জাক জানান, আমাদের ডাক্তারের চিকিৎসা সঠিক আছে। পরে কি সমস্যা হয়েছে তার আমার জানা নেই।

ভালুকা মডেল থানার ওসি কামাল হোসেন জানান, তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ময়মনসিংহের সিভিল সার্জন ডাঃ নজরুল ইসলাম জানান, আমাকে কেউ এখনো পর্যন্ত অবগত করেনি। খোঁজ নিয়ে বিধি গত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

উল্লেখ্য, গফরগাঁও উপজেলার দীঘা গ্রামের জাকারিয়ার স্ত্রী নাজনীন (২৫)এর গত ২৮মার্চ মোহাম্মদীয়া হাসপাতালে সিজারিয়ান অপারেশন করার পর সমস্য দেখা দিলে ৩এপ্রিল ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করার পর ৬দিন চিকিৎসা নেয়। নাজনীনের মা মোহাম্মদীয়া হাসপাতালে বুয়ার কাজ করত চিকিৎসার ক্ষতি পূরুন চাওয়ার নাজনীনের মা নাজমা আক্তারকে চাকুরিচুত করা হয়। এছাড়া উপজেলার পানিহাদি গ্রামের সিঙ্গাপুর প্রবাসি মনসুর আলীর স্ত্রী শারমিন আক্তারকে ২ ফেব্রুয়ারী ২০২০ইং সকালে প্রসব ব্যথা উঠলে তাকে একই হাসপাতালে ডাক্তার রোকাইয়ার মাধ্যমে সিজারিয়ান অপারেশন করার পর চিকিৎসাধিন অবস্থায় ১১ফেব্রয়ারী রাতে  ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে শারমিন মারা যান। অপর দিকে ত্রিশাল উপজেলার কাঠাল বিল বোকাপাড়ার আতাউল হকের স্ত্রী ভালুকা উপজেলার মাস্টারবাড়ি স্কয়ার ফ্যাশনের শ্রমিক তিন মাসের অন্তঃসত্বা ইসরাত জাহানের পেটে ব্যথা উঠলে ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২০ইং দুপুরে হাসপাতালে নিয়ে আসলে ডিএসসি করার পর এবং ২২ ফেব্রুয়ারী  তিনি মারা যান।

এসএ/