ধর্ষক দু’সন্তানের পিতার সাথে ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা সপ্তম শ্রেণির ছাত্রীর বিয়ে


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:৪৬ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২


ধর্ষক দু’সন্তানের পিতার সাথে ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা সপ্তম শ্রেণির ছাত্রীর বিয়ে

প্রতীকী ছবি

জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে ধর্ষকের সাথে সপ্তম শ্রেণিতে পড়ুয়া কিশোরীকে ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় দুই সন্তানের জনকের সাথে বিয়ে দেওয়া হয়েছে। গত মঙ্গলবার (১৭ মে) স্হানীয় সালিশ বৈঠকের সিদ্ধান্তে উপজেলার মহাদান ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। 

স্থানীয় ও ভুক্তভোগী  পরিবার সূত্রে জানা যায়, উপজেলার মহাদান  ইউনিয়নের  সেঙ্গুয়া গ্রামের লেবু মিয়ার ছেলে আল আমিন(৩০) এর সাথে একই গ্রামের চাঁন মিয়ার কন্যা সানাকইর শেখ খলিলুর রহমান উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীর সাথে অবৈধ মেলামেশার ফলে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর গর্ভে বাচ্চা আসে। ঘটনাটি লোকমুখে ছড়িয়ে পড়লে ধামাচাপা দিতে স্হানীয় মেম্বার আঃ রহিম বাদশা ভূঁইয়ার নেতৃত্বে স্হানীয় মাতাব্বর দলু মিয়ার সভাপতিত্বে সালিশ বৈঠকে উপস্হিত স্হানীয় মাতাব্বর ইসমাইল,বাঘা, বল্লা, হাবিবুর, ফারুক ভূঁইয়া, বন্দুক আলী ও নজরুল মুন্সির  চাপে মেয়ের বাবা ধর্ষকের সাথে মহাদান ইউনিয়নের কাজী আঃ রউফ লিপনের সহকারী কাজী সানাকইর টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিএম কলেজের অফিস সহকারী মোঃ ফজলুল হকের মাধ্যমে চার লক্ষ টাকা দেনমোহর ধার্য করে বিবাহটি নিবন্ধন করেন। বিবাহটি পড়ান স্হানীয় মৌলভী মোহাম্মদ আলী।

এ বিষয়ে কথা হলে মহাদান ইউনিয়নের কাজী মোঃ আব্দুর রউফ লিপন বলেন, আপনি আমার ভাই মোস্তাফিজুর রহমান লিটুর সাথে কথা বলেন।
সানাকইর টেকটিক্যাল এন্ড বিএম কলেজের অফিস সহকারী ও স্হানীয় কথিত সহকারী কাজী ফজলুল হক ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন,আমি লিটু ভাইয়ের কাছ থেকে বই এনেছি এবং বাদশা মেম্বারের কথামত রেজিস্ট্রি করেছি।

এ ব্যাপারে আঃ রহিম বাদশা ভূঁইয়ার সাথে কথা হলে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমি সহ স্হানীয়দেরকে নিয়ে বিয়ের কাবিন ও বিবাহ পড়াইয়া দিছি।তারা এখন ভালভাবে ঘর সংসার করিতেছে।

সরিষাবাড়ী থানার ওসি( তদন্ত) আব্দুল মজিদ বলেন, এ রকম কোন সংবাদ এখনো পায়নি। 

এসএ/