নরসুন্দর চঞ্চল হত্যা: ৩৬ ঘন্টার মধ্যে রহস্য উদঘাটন


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:৪৬ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২


নরসুন্দর চঞ্চল হত্যা: ৩৬ ঘন্টার মধ্যে রহস্য উদঘাটন

যশোরের  কেশবপুরে নরসুন্দর চঞ্চল দাস (২২) হত্যার ৩৬ ঘন্টার মধ্যে রহস্য উদঘাটন করে মূলহোতা সহ ৩ আসামিকে আটক এবং হত্যার কাজে ব্যবহৃত চাকু উদ্ধার করেছে কেশবপুর থানা পুলিশ। 

আটককৃতরা হলেন- মজিদপুর গ্রামের নিরাপদ দাসের ছেলে আনন্দ দাস (৪৫) তার ছেলে সুদেব দাস (২১) ও পিন্টু দাসের ছেলে সুমন দাস (১৮)।

জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) রাতে কেশবপুর উপজেলার মজিদপুর গ্রামে ঋষিপাড়ার কার্তিক দাস এর ছেলে চঞ্চল দাস (২২) বাড়ির পাশে মাঠের মধ্যে রবিউল ইসলাম রবির কলা বাগান থেকে গলা ও পেট কাটা অবস্থায় ছুটে এসে কাকা বিকাশ দাসের বাড়ীতে এসে গোঙানি করতে থাকে। শব্দ শুনে বিকাশ দাস ও তার স্ত্রী ঘর থেকে বের হয়ে দেখে বারান্দার সিড়িতে গলা ও পেট কাটা অবস্থায় পড়ে আছে চঞ্চল দাস। এ সময় তাদের ডাক চিৎকারে এলাকাবাসী ছুটে এসে চঞ্চলকে গুরুতর আহত অবস্থায় কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। খুলনায় হাসপাতালে নেওয়ার পথিমধ্যে চুকনগর এলাকায় পৌঁছালে চঞ্চল দাস মারা যায়। খবর পেয়ে তাৎক্ষনিকভাবে সহকারী পুলিশ সুপার (মনিরামপুর সার্কেল) আশেক সুজা মামুন ও কেশবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ বোরহান উদ্দীন সঙ্গীয় পুলিশ ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে সন্ধিগ্ধ একই গ্রামের সুদেব দাস (২১) ও তার পিতা আনন্দ দাস (৪৫) কে গ্রেফতার করে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদে তথ্য মোতাবেক পুনরায় অভিযান পরিচালনা করে সুমন দাস (১৮) কে গ্রেফতার করে। হত্যার ঘটনায় নিহতের বাবা কার্তিক দাস বাদী হয়ে শুক্রবার কেশবপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। থানার মামলা নং-১।

আটককৃত আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, সুদেব দাসের নির্দেশে সুমন দাস ফোন করে চঞ্চল দাসকে বাড়ী থেকে ডেকে আনলে হত্যার পরিকল্পনা মতে পূর্ব থেকে ওৎ পেতে থাকা সুদেব দাস চাকু দিয়ে চঞ্চল দাসকে গলায় ও পেটে মারাত্মক আঘাত করে। হত্যাকাজে ব্যবহৃত চাকু মাঠের মধ্যে পুতে রাখে। পরবর্তীতে আসামিদের তথ্য ও দেখানো মোতাবেক সেখান থেকেই হত্যার কাজে ব্যবহৃত চাকু উদ্ধার করে পুলিশ।

নিহত চঞ্চল দাসের বাবা কার্তিক দাস জনবাণীকে বলেন, ‍“পাড়ার আনন্দ দাসদের সঙ্গে তাঁদের নারী নির্যাতনের একটি মামলা চলছিল। তাঁর ধারণা, মামলা নিয়ে বিরোধের কারণে তাঁর ছেলেকে খুন করেছে তারা।” 

এ ব্যাপারে কেশবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ বোরহান উদ্দীন জনবাণীকে বলেন, “চঞ্চল দাস  হত্যার রহস্য উদঘাটন করে হত্যার মূলহোতা সুদেব দাস সহ ৩ আসামিকে আটক এবং হত্যার কাজে ব্যবহৃত চাকু উদ্ধার করা হয়েছে।” 

এসএ/