মেয়েকে নৃশংসভাবে হত্যা করলো আপন মা!


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:৪৬ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২


মেয়েকে নৃশংসভাবে হত্যা করলো আপন মা!

জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে রহস্যজনক ভাবে মায়ের হাতে মেয়ে হত্যার ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। সোমবার (৪ জুলাই) বিকেল ৫ টায় ভাটারি ইউনিয়নের কুটুরিয়া গ্রামের বাবার বাড়ীতে জানাযা শেষে পারিবারিক গোরস্থানে দাফন সম্পন্ন হবে বলে নিশ্চিত করেছেন ওয়ার্ড মেম্বার মো. আব্দুল আলিম।

নিহত মোহনা চন্দপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী। রহস্যজনক শিশু হত্যা ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। পরকীয়া ঘটনা মেয়েটি দেখে ফেলায় তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। সঠিক তদন্তের দাবী জানিয়েছেন স্থানীয় এলাকাবাসী।  

মামলার এজাহার ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, উপজেলার কুটুরিয়া গ্রামের কাশেমের ছেলে মোহাম্মদ আলীর সাথে ৯ বছর পুর্বে পৌর এলাকার চর, বাঙ্গালী গ্রামের মো. বেলাল সরকারের মেয়ে বেদেনার সাথে বিবাহ হয়। বিবাহের পর তাদের সংসারে বড় মেয়ে নিহত মোহনা (৭) ও ছোট ছেলে মোঃ ইয়াসমিন (৪) এর জন্ম হয়। এদিকে জীবিকার তাগিতে ২০১৯ সালে দেশ ত্যাগ করে বিদেশ (সৌদী আরব) চলে যায়। স্বামী সৌদি আরব থাকায় পরিবারের কারো সাথেই বনি বনা হচ্ছিল না বেদেনার। প্রায় সময়ই মেয়ে-ছেলেকে হত্যা করার হুমকি দিত। রোববার সকালে বাড়ীতে কেউ না থাকায় ঘরে বড় মেয়ে মোহনা (৭)কে ডেকে নিয়ে গলা টিপে হত্যার চেষ্টা করে। পরবর্তীতে সীল-পাটার সীলের আঘাতে মাথা থেতলে যাওয়ায় প্রচুর রক্ত ক্ষরণে ঘটনাস্থলেই মারা যায় শিশুটি। সংবাদ পেয়ে পুলিশ হত্যাকারী মাকে গ্রেফতার ও আলামত  উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। নিহত শিশুটিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষনা করলে ময়না তদন্তের জন্য  মর্গে প্রেরণ করে পুলিশ।  পরে শিশুটির দাদা বাদী হয়ে সরিষাবাড়ী থানায় ৩০২ পেনাল কোড-১৮৬০ ধারার হত্যা করার অপরাধে থানায় মামলা দায়ের করে।  হত্যাকারী মাকে গ্রেফতার করে কোর্টের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। 

এ বিষয়ে সরিষবাড়ী হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ দেবাশীষ রাজবংশী জনবাণীকে জানান, ‘ঘটনাটি দুঃখজনক। হাসপাতালে নিয়ে আসার পুর্বেই শিশুটি মারা গিয়েছিল।’  

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা থানার এসআই মোঃ আঃ খালেক জনবাণীকে জানান,  ‘লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য জামালপুর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। মামলার এজাহার নামীয় এক মাত্র আসামী শিশুটির মা বেদেনা আক্তারকে গ্রেফতার করে কোর্টে পাঠানো হয়েছে।  মামলার তদন্ত চলছে। এ ঘটনায় আরো কেউ জড়িত থাকলে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।’

এসএ/