সরকারি হাসপাতালের রোগী ভাগিয়ে প্রাইভেট ক্লিনিকে নিয়ে ভুল অপারেশন


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:৪৬ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২


সরকারি হাসপাতালের রোগী ভাগিয়ে প্রাইভেট ক্লিনিকে নিয়ে ভুল অপারেশন

মানিকগঞ্জে সদর হাসপাতাল থেকে রোগী ভাগিয়ে নিয়ে প্রাইভেট হাসপাতালে ভুল অপারেশন করার অভিযোগ উঠেছে কর্তব্যরত ডা: রুমার বিরুদ্ধে।

এ বিষয়ে রোগী নাছরিন বেগম গত ২৮ জুন ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতালের তত্বাবধায়ক  ডা: মোহাম্মদ বাহাউদ্দিনের নিকট একটি লিখিত অভিযোগ দেন। তবে ভুক্তভোগী নারীকে ডা: রুমার ব্যক্তিগত সহকারী আলালকে দিয়ে অভিযোগটি তুলে নিতে বলে এবং হুমকি দেয়।

অভিযোগে বলা হয়, গত ৩ ফেব্রুয়ারী সদর হাসপাতালের বহির্বিভাগ থেকে টিকেট কেটে গাইনী সমস্যা নিয়ে ডা: রুমাকে দেখান। এরপর ডা: রুমা তাকে দেখে বলে আপনার রেক্টোসিল ও সিষ্টোসিল হয়েছে। এই বলে তাকে প্রাথমিক পর্যায়ে কিছু ঔষুধ ও টেষ্ট লিখে দিয়ে পরবর্তী সাপ্তাহে আসতে বলে। এভাবে ১ মাসে রোগী চারবার হাসপাতালে আসে এবং নতুন নতুন চেষ্টা করিয়ে কালক্ষেপন করাইতে থাকে। এক পর্যায়ে ডা: রুমা ২৭ ফেব্রুয়ারী তার ব্যক্তিগত সহকারী আলালের মাধ্যমে মনোয়ারা নামের এক মহিলা দালাল দিয়ে রোগীকে আল মদিনা জেনারেল হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনেষ্টি হাসপাতালে পাঠান এবং ঐ দিন বিকেলে রোগীর অপারেশন করেন। 

অপারেশন শেষে রোগীর স্বজনদের জরায়ু দেখান। জরায়ু দেখে স্বজনেরা বলেন, আমাদের রোগীর জরায়ু সমস্যা না তাহলে জরায়ু কেন অপারেশন করেছেন। তখন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও ডাক্তার তাদেরকে ভুল বুঝিয়ে বলে পূর্বেও সকল সমস্যা সমাধান করা হয়েছে। এভাবে আলমদিনা হাসপাতালে ৪ দিন থাকার পর ১৮,২০০ টাকার বিলের কাগজ দেখিয়ে নগদ ১২,৫০০ টাকা নিয়ে আমাকে রিলিজ দেয়। বাড়িতে এসে কিছু দিন যাওয়ার পর রোগী বুঝতে পারেন তার সেই পূর্বের সমস্যা রয়েই গেছে। পুনরায় ডাক্তারের কাছে গেলে রোগীর সাথে দুর্ব্যবহার করে। ডাক্তারে ভুল অপারেশনের কারণে রোগীর একটি মেয়ের আশা ছিল তা অসম্পূর্ণ রয়ে গেছে। ডাক্তারের ভুল অপারেশনের কারণে শাররীক, মানসিক ও আর্থিক ক্ষতির কারণে বিচারের দাবি জানান তিনি। 

এ বিষয়ে ডা: রুমার সাথে কথা বললে তিনি জনবাণীকে জানান, ‍“মঙ্গলবার রোগীর অপারেশন, আমার বিরুদ্ধে কোন সংবাদ প্রকাশ করলে আমি রোগীর কোন সেবাই দিব না।”

হাসপাতাল থেকে রোগী ভাগিয়ে নিয়ে  ভূল অপারেশন করা বিষয়ে তত্বাবধায়ক ডা: মোহাম্মদ  বাহাউদ্দিনের সাথে কথা বললে তিনি জনবাণীকে জানান, “রোগীর যাবতীয় চিকিৎসার দায়িত্ব আমি নিয়েছি। আমার হাসপাতালের কোন ডাক্তার যদি এমটা করে থাকে অবশ্যই  তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নিব।” 

এসএ/