মেঘনার ভাঙন থেকে রক্ষা পেলনা মাদ্রাসা-কবরস্থান


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:৪৬ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২


মেঘনার ভাঙন থেকে রক্ষা পেলনা মাদ্রাসা-কবরস্থান

নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার শ্রীনগরে মেঘনার ভাঙনে বিলীন হওয়ার পথে মাদ্রাসা ও কবরস্থান। গত রোববার (১০ জুলাই) দিবাগত রাত ১১টা থেকে ১টা পর্যন্ত সময়ে ভাঙনে নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে ঐতিহ্যবাহী ফকিরের চর কবরস্থান, এতিমখানা, মাদ্রাসা মাঠ ও ঈদগাহ মাঠ। এতে করে হুমকির মুখে পড়েছে চরের কয়েক শ বসতবাড়ি।

স্থানীয়রা জানান, গতকাল রাত ১১টার দিকে মেঘনার নদী ঘেষা ফকিরের চর গ্রামে নদীর ভাঙন শুরু হয়। এতে গ্রামের শত বছরের ঐতিহ্যবাহী কবরস্থান, ঈদগাহ, এতিমখানা ও মাদ্রাসা মাঠের বেশির ভাগ অংশ নদীতে বিলীন হয়ে যায়। এমনকি কবরস্থানে ভাঙনের ফলে দাফনকৃত লাশ বের হতে দেখা গেছে। এ সময় গ্রামজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। প্রতি বছরই নদীভাঙনে গ্রামটির অস্তিত্ব টিকে থাকা নিয়ে সংশয়ে রয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। গত দেড় যুগে নদী ভাঙনে গ্রামের হাজারো পরিবার গৃহহীন হয়ে পড়েছেন। ভুক্তভোগী মানুষের অভিযোগ, অপরিকল্পিতভাবে মেঘনায় বালু উত্তোলনের কারণে প্রতি বছর শত শত ঘরবাড়ি নদীতে বিলীন হলেও স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেই কোনো উদ্যোগ।

সোমবার (১১জুলাই) দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, গ্রামটিতে নদীভাঙনে স্কুল, মসজিদ, মাদ্রাসা, কবরস্থান, হাটবাজারসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এবং ফসলি জমি, বসতভিটা মেঘনা নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। গ্রামটিকে রক্ষা করতে বেড়িবাঁধ নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তা না হলে মানচিত্র থেকে এ গ্রামটি বিলীন হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তাঁরা। এ জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে প্রধানমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কাছে জোর দাবি জানান গ্রামবাসী।

এদিকে নদীভাঙনের খবর পেয়ে ভাঙনস্থল পরিদর্শন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আজগর হোসেন ও অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আজিজুর রহমান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন শ্রীনগর ইউপি চেয়ারম্যান রিয়াজ মুর্শেদ খান, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল মোতালিব মেম্বার, রায়পুরা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এম নূরউদ্দিন আহমেদ, ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মামুন মিয়া প্রমুখ।

ইউপি সদস্য মো. জালাল উদ্দীন জনবাণী বলেন, ‍“মেঘনা নদীর ভাঙনের করাল গ্রাস থেকে বসতবাড়ি, ফসলি জমি রক্ষা করতে ৩০ বছর ধরে বেড়িবাঁধ নির্মাণের জন্য এলাকাবাসী দাবি জানিয়ে আসছে। তবে এখনো তা বাস্তবায়ন হচ্ছে না। গ্রামটি রক্ষার জন্য দ্রত বাঁধ চাই আমরা।”

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আজগর হোসেন জনবাণীকে বলেন, “খবর পেয়ে সরেজমিন পরিদর্শন করেছি। এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। আশাকরি দ্রত সময়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবে সরকার।”

এসএ/