প্রেমের টানে মার্কিন তরুণী গাজীপুরে


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:৪৬ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২


প্রেমের টানে মার্কিন তরুণী গাজীপুরে

প্রেমের টানে সুদূর আমেরিকা থেকে ঈদের দিন গাজীপুরের শ্রীপুরে প্রেমিকের কাছে ছুটে এসেছেন এক মার্কিন তরুণী। ঈদের দিন রবিবার (১০ জুলাই) রাতে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এলে প্রেমিক ইমরান হোসেন খান (৩০) তাকে রিসিভ করে গ্রামের বাড়ি শ্রীপুরের কুমারভিটা এলাকায় নিয়ে যান। ইমরানের সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার পরিচয় হয়। এরপর তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। 

যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনা স্টেটের বাসিন্দা লিডিয়া লুজা। তার বাবা মারা গেছেন। মা অন্য এখন সংসারের সদস্য। তারা দুই ভাই, এক বোন। ছোটবেলা থেকে লিডিয়া তার দাদুর কাছে বড় হয়েছেন। তিনি জন এফ কেনেডি বিমানবন্দরে চাকরি করতেন।

আর ইমরান খান গাজীপুর জেলার শ্রীপুর উপজেলার বরমী কুমারভিটা এলাকার মৃত জালাল উদ্দিন মাস্টারের ছেলে। তিনি ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সির শিক্ষার্থী। তিনি লিডিয়া লুজাকে ধর্মান্তরিত করে বিয়ে করেছেন। তাই লুজার নামের সঙ্গে স্বামীর পরিবারের উপাধি হিসেবে ‘খান’ শব্দটি যুক্ত হয়েছে।
লিডিয়া লুজা খান জানান, ফেসবুকের কল্যাণে তাদের পরিচয় হয়। প্রতিদিনের আলাপচারিতায় ইমরানকে ভালো লেগে যায় তার। পরে উভয় পরিবার রাজি হলে লিডিয়া বাংলাদেশে আসার সিদ্ধান্ত নেন। তিনি ধর্মান্তরিত হয়ে বিয়ে করেন ইমরানকে।

বাংলাদেশ সম্পর্কে লিডিয়া বলেন, প্রকৃতির মতোই এ দেশের মানুষগুলো সহজ-সরল ও সুন্দর। তাই ইমরানও ভালো মানুষ। তবে শ্বশুরের এলাকার লোকজন ইংরেজি না জানার কারণে সবার সঙ্গে কথা বলতে একটু সমস্যা হচ্ছে।

এ বিষয়ে ইমরান খান জানান, গত জানুয়ারির শেষ সপ্তাহের ফেসবুকের মাধ্যমে তাদের পরিচয় হয়। একপর্যায়ে মাসখানেক পরেই লিডিয়া তাকে বিয়ের প্রস্তাব দেন। প্রথমে তিনি বিশ্বাস করতে পারছিলেন না। তিনি রাজি হলে মার্চ মাসের প্রথম দিকে লিডিয়া তুর্কি ট্রানজিট করে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামেন। মার্কিন নাগরিক হওয়ায় তার ধারণা ছিল ভিসা ছাড়াই বাংলাদেশে ঢুকতে পারবেন। পরে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ তাকে ফেরত পাঠিয়ে দেয়। পরে আজ ভোরে আবার এসে পৌঁছান বাংলাদেশে।

ইমরানের মা আনোয়ারা বেগম জানান, যুক্তরাষ্ট্রের মেয়েকে পুত্রবধূ হিসেবে পেয়ে তিনি খুশি। আর ধর্মান্তরিত হওয়ার পর তারা বিয়েতে আবদ্ধ হয়েছেন, তাই তিনি পারিবারিকভাবে মেনে নিয়েছেন।

ওআ/