পটিয়ায় সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত বেড়ে ৬


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:৪৬ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২


পটিয়ায় সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত বেড়ে ৬

চট্টগ্রামের পটিয়ায় বাস মুখোমুখি সংঘর্ষে স্বামী স্ত্রীসহ ৬ জন নিহত। এতে নারী ও শিশুসহ আরো ১০ জন আহত হয়েছেন। তবে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে হাইওয়ে পুলিশের সাথে মাসিক চুক্তিতে অবৈধ সিএনজি মহাসড়কে নিয়মিত চলাচল করে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। অবৈধ সিএনজিগুলো যেমন মহাসড়কে যানজট সৃষ্টির অন্যতম কারণ পাশাপাশি  প্রতিনিয়ত সড়কে দুর্ঘটনার কারণ হয়েও দাড়িয়েছে বলে  অভিযোগ উঠেছে।

 পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানায়, সোমবার রাত ৮টায় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের পটিয়া উপজেলার ভাইয়ের দিঘীর পাড় এলাকায় রিলেক্স পরিবহন যাত্রীবাহী বাস ও একটি সিএনজির মুখোমুখি সংঘর্ষে এ ঘটনা ঘটেছে।

এ ঘটনায় আহতদের মধ্যে আরো কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। আহতদেও প্রথমে পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরে  চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রেরণ করা হয়। আহতরা বর্তমান চমেকে  চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

নিহতরা হলেন- সিএনজি চালক ইসমাইল(৫০) তিনি পটিয়া উপজেলার হাবিলাসদ্বীপ ইউনিয়নের হুলাইন গ্রামের মৃত নোওয়াব মিয়ার পুত্র। রেজাউল করিম রফিক(৪৫), উপজেলার কচুয়াই ইউনিয়নের কমল মুন্সিরহাট মাঝিরপাড়া এলাকার আব্দুর রাজ্জাকের পুত্র, শুভ ধর(২৭), সে চন্দনাইশ উপজেলার গাছবাড়িয়া গ্রামের বণিক পাড়া এলাকার মৃত মিথন নাথ ধরের পুত্র। সাব্বির হোসেন (২৮), সে চন্দনাইশ উপজেলার রশিদাবাদ গ্রামের মো. হোসেনের পুত্র। বিশ্বজিৎ সেন(৪৫) সে চন্দনাইশ উপজেলার মোহাম্মদপুর এলাকার সেন বাড়ির অনিল সেনের পুত্র একই সাথে তার স্ত্রী  রুপনা সেন(৪২) নিহত হয়।  

আহতরা হলেন-বরিশালের আরিফুল ইসলাম (২৫), চকরিয়ার শাহ আলম (৪০), রিজুয়ানুল হক (৩২), সুখী (২৯), আবিদা (৭), রাফি (৭) এবং সাতকানিয়ার শিপলু শর্মা (৪২)।

এ প্রসঙ্গে বাসে থাকা এক যাত্রী আবু তৈয়ব জানান, “কক্সবাজার থেকে ছেড়ে আসা রিলেক্স পরিবহনের ওই বাসে (ঢাকা মেট্টো-গ ১৩১৯১৮) তিনি চকরিয়া উপজেলার আমিরাবাদ এলাকা থেকে চট্টগ্রাম শহরে যাওয়া জন্য উঠেছিলেন। গাড়িচালক প্রথম থেকেই বেশি গতিতে বাসটি চালাচ্ছিলেন। পটিয়া উপজেলার কমল মুন্সিরহাটস্থ এলাকায় আসলে হঠাৎ বাসের সাথে সিএনজির সংঘর্ষ হয়ে বাসটি বিলে পড়ে যায়। কোনোরকম জান নিয়ে বাস থেকে বের হতে পেরেছি।”

তিনি আরো জানান, “তিনি ভেবেইছিলেন যে বাসের সকল যাত্রী মারা যাবেন। আল্লাহ পাকের অশেষ রহমতে বাসে থাকা প্রায় যাত্রী বেচে ফিরেছে। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় ফায়ার সার্ভিস তাদের উদ্ধার করে। এ বিষয়ে পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক আরিফুল ইসলাম জানান, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১০ জন আহতকে আনা হয়েছে। এদের মধ্যে একজন মারা গেছেন। ছয়জন চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে যান বাকি ৩ জনের অবস্থা গুরতর হওয়ায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।”

এ বিষয়ে পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাশেদুল ইসলাম জনবাণীকে জানান, “ঘটনার খবর পেয়ে পটিয়া থানা পুলিশ, হাইওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ফায়ারসার্ভিসের সহযোগিতায় নিহত ও আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেরণ করা হয়। চট্টগ্রাম কক্সবাজার মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক করা হয়।”

এ বিষয়ে পটিয়া ক্রসিং হাইওয়ে থানার ইনচার্জ মোজাফ্ফর হোসেন জনবাণীকে জানান, “ঘটনাটি বাস নিয়ন্ত্রন হারিয়ে ফেলার কারণে ঘটেছে বলে মনে হচ্ছে। গাড়ি দুটি আটক করে মামলা হয়েছে এবং বিআরটিএর পরীক্ষার পর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।”

এসএ/