বিক্রি হয়নি ৫০ মণ ওজনের কালো মানিক, বিপাকে খামারী


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:৪৬ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২


বিক্রি হয়নি ৫০ মণ ওজনের কালো মানিক, বিপাকে খামারী

এবারের কুরবানী ঈদেও বিক্রি হয়নি বহুল আলোচিত হাঁট কাঁপানো ৫০ মণ ওজনের ষাঁড় কালো মানিক। বিক্রি না হওয়ায় ময়মনসিংহের ত্রিশালের ধানিখোলা দক্ষিন ভাটিপাড়া গ্রামের খামারী জাকির হোসেন সুমন পড়েছেন বিপাকে। 
 
কালো মানিকের মালিক জাকির হোসেন সুমন জনবাণীকে জানান, ‍“অনেক শখ করে গত পাঁচ বছর ধরে এই ষাঁড়টিকে আমি দেশীয় খাবার খাইয়ে যত্ন আর ভালোবাসা দিয়ে বড় করেছি। কৃত্রিম কোনো কিছু খাইয়ে প্রাকৃতিক উপায়ে খৈল, ভুষি, ভুট্টা, কলা, ভাত, খড়-ঘাস খাইয়েছি। আমি নিজের চেয়েও বেশি গরুর যত্ন নেই। গত বছর ভাল দাম না পওয়ায় কালো মানিককে বিক্রি করতে পারিনাই। তবে এ বছর আশা করেছিলাম গরুটি বিক্রি করতে পারবো। বাড়িতে ২০ লাখ দাম হয়েছিল। পরে ঈদের আগে ঢাকার গাবতলীর হাটে নিয়ে যাই। ঐখানেও আগের চেয়ে দাম আরো কম হয়। ষাঁড়টির দাম  ১৭ লাখ টাকা হয়। এত কমে কি করে বিক্রি করি। তাই আবার ষাঁড়টিকে বাড়িতে ফেরত নিয়ে আসি। এখন ষাঁড়টির পিছনে প্রতিদিন যে টাকা ব্যয় হয় তা নিয়ে অনেক সমস্যায় আছি। এখন এ ষাঁড়টি নিয়ে কি করবো বুঝতে পারছিনা। দেখাযাক আল্লাহতালা ভাগ্যে কি রাখছেন।”
   
জানা যায়, গত দুই বছর কোরবানীর ঈদে কালো মানিকের দাম হয়েছিল বিশ লাখ টাকা। ন্যায্য মূল্য না পাওয়ায় এবারও বিক্রি হয়নি কালো মানিক। তাই কালো মানিকের মালিক জাকির হোসেন সুমন এ নিয়ে পড়েছেন বিপাকে। এবার আবারও  লালন-পালন করতে হবে। যার ব্যয় ভার বহন করার তার পক্ষে অসম্ভব  হয়ে দাড়িয়েছে। প্রতিদিন কালো মানিক ষাঁড়টির পিছনে ব্যয় হয় ১৫০০ থেকে ১৮০০ টাকা। এ কোরবানীর ঈদে ৫০ মণ ওজনের কালো মানিকের দাম হাঁকা হয়েছিল ৪০ লাখ টাকা। ঢাকায় গাবতলির হাটে দাম হয় ১৭ লাখ টাকা। মালিকের দাবী দেশের মধ্যে সবচেয়ে বড় গরু তার এ কালো মানিক।

এটি ফ্রিজিয়ান জাতের ষাঁড় কালো মানিক। গত পাঁচ বছর ধরে লালন-পালন করে আসছেন উপজেলার ধানীখোলা ইউনিয়নের খামারি জাকির হোসেন সুমন। এর ওজন ৫০ মণ। ষাঁড়টি শান্ত প্রকৃতির ও কালো রঙের হওয়ায় আদর করে এর নাম নাম রাখা হয়েছে কালো মানিক। কালো মানিকের নাম আশ পাশের এলাকাসহ সবার মুখে মুখে। বিশাল আকারের কালো মানিককে দেখতে ক্রেতাসহ সাধারন মানুষতো বটেই দুর-দূরান্ত থেকেও নানা বয়সের মানুষ প্রতিদিন জাকিরের বাড়িতে ভিড় জমায়। দেখতে আসা অনেকেই এটিকে হাতির সাথে তুলনা করছেন। তবে বিক্রি না হওয়ায় আশপাশের গ্রাম বাসিও হতাশ। অনেকেই গরুর মালিককে শান্তনা দিচ্ছেন। সকলেই চান ন্যায্য মুল্যে ষাড়ঁটি যেন বিক্রি করতে পারে মালিক জাকির হোসেন।

এসএ/