পর্যটকদের পদচারণায় মুখর কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:৪৬ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২


পর্যটকদের পদচারণায় মুখর কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত

দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সমুদ্র সৈকত সাগরকন্যা খ্যাত পটুয়াখালীর কুয়াকাটা। ঈদের টানা লম্বা ছুটি পদ্মা সেতু খুলে দেওয়ায় কানায় কানায় পূর্ণ এই সমুদ্র সৈকত।

শুক্রবার (১৫ জুলাই)  কুয়াকাটা সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্ট ঘুরে দেখা যায় হাজারো পর্যটকের পদচারণায় মুখর রয়েছে। ছবিতোলা, বালিয়াড়িতে হৈ-হুল্লোড়, আড্ডা, পরিবার নিয়ে সৈকত উপভোগে ব্যস্ত পর্যটকরা।

ঢাকা থেকে আসা পর্যটক শাওন  বলেন, “কুয়াকাটায় আসছি এই প্রথম আজকে অনেক লোক দেখে ভালো লাগছে বেশ আনন্দ উল্লাস করছি। দু'জনে প্রথম ট্যুরে অনেক আনন্দে কাটাচ্ছি।” 

ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা জোন সহকারী পুলিশ সুপার আবুল কালাম আজাদ জনবাণীকে জানান, “আগত পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তায় কঠোর অবস্থানে রয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশ। বিভিন্ন পয়েন্টে পোশাক ও সাদা পোশাকে কয়েকটি টিম সার্বক্ষণিক কাজ করছে সাথে সহযোগিতা করছে ফায়ারসার্ভিসের একটি টিম।” 

কুয়াকাটা ট্যুর গাইড এসোসিয়েশনের সভাপতি কেএম বাচ্চু জানান, “ঈদের তৃতীয় দিন অর্থাৎ আজকে কুয়াকাটায় পর্যটকদের আগমন শুরু হয়েছে আগামী ১৫ তারিখ পর্যন্ত ভালো বুকিং পেয়েছি আমরা। তবে কুয়াকাটায় আগত পর্যটকরা এসে অনেকেই একদিনে চলে যাচ্ছে যদি এখানে আরে কিছু বিনোদনের স্থান বাড়ানো যেত তাহলে পর্যটকরা দুই-তিন দিন কুয়াকাটায় অবস্থান করতো।”

ট্যুর অপারেটরস এসোসিয়েশন অব কুয়াকাটা (টোয়াক) প্রেসিডেন্ট রুমান ইমতিয়াজ তুষার  জানান, “এই মৌসুমে এত পর্যটকের সাধারণত দেখা মেলে না পদ্মা সেতুর কারনেই এটা সম্ভব হয়েছে। পদ্মাসেতু ও পর্যটন কেন্দ্র ওতপ্রোতভাবে জড়িত, যে কারনে আরো একধাপ এগিয়ে গেল এই কুয়াকাটা।”

তিনি আরো জানান, “বর্তমানে হোটেল-মোটেল গুলোতে ধারণ ক্ষমতা ১৫-২০ হাজার। আগামী শীত মৌসুমের পূর্বে যদি এই ধারণক্ষমতা না বাড়ানো যায় তাহলে তাহলে বড় ধরনের একটি সংকট দেখা দিতে পারে।”

অসংখ্য পর্যটকের আগমনে আবাসিক হোটেল-মোটেল, রেস্টুরেন্ট, ক্ষুদ্র ও মাঝারি সহ সব ধরনের ব্যবসায়ীরা প্রান চানচঞ্চলা ফিরে পেয়েছে। 

এসএ/