নেপাল যেখানে ছাত্ররা ক্যাম্পাসে ফেরে, আর আমরা?

নেপালে আন্দোলনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা জনজীবনের দুর্ভোগের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে।
তারা ফিরেছে তাদের ক্যাম্পাসে, চায় না কোনো লুটপাট, চাঁদাবাজি বা সহিংসতায় নিজেদের নাম জড়াতে। তারা রাজনৈতিক ক্ষমতার ভাগে অংশ নিতে চায়নি, চায়নি প্রতিদান, চায়নি পোস্ট।
নতুন সরকার প্রধান সুশীলা কার্কি সেই বার্তা বুঝেছেন। তিনি তরুণদের ব্যবহার করেননি রাজনৈতিক লাভের জন্য। পাঠাননি তাদের সন্ত্রাসের পথে, পাঠিয়েছেন পড়ার টেবিলে।
তিনি নিজ প্রতিষ্ঠানের লাভ বা উপদেষ্টার বাহিনী গড়ার দিকেও হাঁটেননি। বরং ছোট প্রশাসন, স্বচ্ছ নির্বাচনের দিকে এগিয়ে চলেছেন।
এই প্রেক্ষাপটে আমাদের তারুণ্যের রাজপথ-নির্ভর ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন তুলতেই হয়- আমাদের তরুণরা কি ক্যাম্পাসমুখী, না ক্যামেরামুখী? আন্দোলনের শেষটা কি পোস্ট ও প্রভাবের দিকে যায়, না আত্মজিজ্ঞাসায়?
নেপালের তরুণরা একটি বার্তা দিয়েছে— দায়িত্বশীল হওয়া মানেই দুর্বলতা নয়।
আমাদের তরুণদের পথ কেমন হবে- সেটাও আমাদেরই নির্ধারণ করতে হবে।
বিজ্ঞাপন
