জীবন থাকতে বিএনপির হাতে ক্ষমতা ছেড়ে দেব না : ওবায়দুল কাদের
নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৫:২৩ পূর্বাহ্ন, ১২ই মার্চ ২০২৩

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি গণতন্ত্রকে নির্বাসনে পাঠিয়েছিল। ৭ই মার্চের বঙ্গবন্ধুর ভাষণকে নিষিদ্ধ করেছিল। বঙ্গবন্ধুর খুনিদের পুরস্কার দিয়েছিল। যারা শেখ হাসিনাকে গ্রেনেড হামলা করে মারতে চেয়েছিল তাদের হাতে আমরা বাংলাদেশ তুলে দেব না। আমাদের জীবন থাকতে তা হতে দেব না।
শনিবার (১১ মার্চ) বিকেলে ময়মনসিংহের ঐতিহাসিক সার্কিট হাউস মাঠে আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, জনগণ খুশি থাকলে বিএনপি বেজার। মানুষ খুশি হলে বিএনপির ভোট কমে যায়, এ জন্যই বিএনপি বেজার।
তিনি বলেন, বিএনপি এতদিন দৌড়াতে দৌড়াতে এখন দাঁড়িয়ে গেছে। কোথায় দাঁড়িয়েছে? মানববন্ধনে, পথ হারিয়ে পদযাত্রার পথিক এখন মানববন্ধনে। দিশেহারা পথিক। কোথায় যাবে এখন?
বিএনপি ফান্দে পড়ে গেছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ফান্দে পড়িয়া বগা কান্দেরে। একদিকে লন্ডনের ফরমায়েশ অন্যদিকে টাকাওয়ালাদের টাকা। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দিশেহারা। চোখে অন্ধকার দেখছেন।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ধানের শীষের আরেকনাম পেটে বিষ। মানুষ এখন বলে সাপের বিষ। এই হলো ধানের শীষ।
তিনি বলেন, বিএনপি এখন দিশেহারা। আন্দোলন করার শক্তি তাদের নেই। বিএনপির শক্তি কমে গেছে। কিন্তু মুখের বিষ কমে নাই। মুখের বিষ আরও উগ্র হয়ে গেছে। প্রতিদিন বিএনপি নেতারা গালিগালাজ করে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, লোকে বলে ময়মনসিংহ হচ্ছে আওয়ামী লীগের দুর্ভেদ্য ঘাঁটি। আজকে এ ভরা রোদের মধ্যে বঙ্গবন্ধুকন্যাকে এক নজর দেখার জন্য সারা ময়মনসিংহের অগণিত মানুষ ছুটে এসেছে। আজকে আবারও প্রমাণ হয়েছে ময়মনসিংহ হচ্ছে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার দুর্ভেদ্য ঘাঁটি, দুর্জয় ঘাঁটি।
তিনি বলেন, ময়মনসিংহের মানুষ এর আগে এত উন্নয়ন দেখেনি। নৌকায় ভোট দেওয়ার কারণে ময়মনসিংহের গ্রাম এখন শহর। ময়মনসিংহের ঘরে ঘরে আগে ছিল অন্ধকার আর এখন বিদ্যুতের আলো। হাতে হাতে মোবাইল। ঘরে ঘরে ইন্টারনেট। ইউনিয়নে ডিজিটাল কেন্দ্র।
বিজ্ঞাপন
পাঠকপ্রিয়
আরও পড়ুন

তারেক রহমানকে চীন সফরে আমন্ত্রণ চীনা কমিউনিস্ট পার্টির

শহীদদের দলীয়করণ করলে তাদের অবমূল্যায়ন করা হবে: ডা. জাহিদ হোসেন

খেলাধুলা ও ক্রীড়াঙ্গন রাজনীতি মুক্ত থাকা উচিত : মির্জা ফখরুল

তারেক রহমানের দেশে ফেরার নেপথ্যে নিরাপত্তা ও নির্বাচন
