বিএনপিতে মির্জা ফখরুলদের মত প্রকাশের স্বাধীনতা নেই : কাদের


Janobani

জনবাণী ডেস্ক

প্রকাশ: ০১:১৮ পূর্বাহ্ন, ২৫শে মার্চ ২০২৩


বিএনপিতে মির্জা ফখরুলদের মত প্রকাশের স্বাধীনতা নেই : কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

বিএনপির আভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে মির্জা ফখরুলদের মত প্রকাশের স্বাধীনতা নেই বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।


শুক্রবার (২৪ মার্চ) দুপুরে আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়ার সই করা এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন। 


ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘মির্জা ফখরুল আলমগীরের মর্মবেদনা আমরা বুঝি। প্রকৃতপক্ষে বিএনপির অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে মির্জা ফখরুলদের মত প্রকাশের স্বাধীনতা নেই। সুদূর লন্ডন থেকে যে ওহি নাযিল হয় কিংবা যে সিদ্ধান্ত আসে. তা মুখ বুজে মেনে নিতে বাধ্য হন ফখরুল সাহেবরা। দণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামির প্রেসক্রিপশনে পরিচালিত হয় বিএনপি; অগণতান্ত্রিক ও অগঠনতান্ত্রিকভাবে কমিটি ভাঙে-গড়ে, বহিষ্কার-পুরস্কার নির্ধারিত হয় এবং কমিটি ও মনোনয়ন নিয়ে বাণিজ্য চলে।


‘বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মত প্রকাশের স্বাধীনতার কথা বলেছেন। মির্জা ফখরুলের এমন বক্তব্য ভূতের মুখে রাম রাম ছাড়া কিছু নয়। কারণ বিএনপি কখনোই জনগণের বাক-স্বাধীনতা ও জনমতকে ধারণ করেনি। বিএনপির জন্মই হয়েছিল বন্দুকের নলের মুখে জনগণকে জিম্মি করে অবৈধ ক্ষমতা দখলের মধ্য দিয়ে। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ সবসময় জনগণের বাক-স্বাধীনতা ও মত প্রকাশের অবাধ সুযোগ প্রতিষ্ঠায় অবিরাম আন্দোলন-সংগ্রাম চালিয়ে আসছে।’


‘শেখ হাসিনার সুদক্ষ নেতৃত্বে বাংলাদেশের মানুষের বাক, ব্যক্তি ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা সুসংহত হয়েছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের মধ্য দিয়ে মত প্রকাশের অনিরুদ্ধ দ্বার উন্মোচিত হয়েছে। অর্ধ-শতাধিক বেসরকারি টেলিভিশন, এফএম রেডিও,কমিউনিটি রেডিও ও সহস্রাধিক সংবাদপত্রের নিবন্ধন দিয়ে সরকার মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে সম্প্রসারিত করেছে। সেই সঙ্গে ডিজিটাল বাংলাদেশের কল্যাণে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মত প্রকাশের স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠার দুয়ার উন্মুক্ত হয়েছে।


আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা জনগণের কল্যাণে, গণ-আকাঙ্ক্ষা ও প্রত্যাশাকে ধারণ করেই সরকার পরিচালনা করে আসছেন। মানুষকে নির্বাক করে রাখতে নয়, গণমানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিধ্বনিকে প্রতিষ্ঠা করতেই পরিচালিত হয় সরকারের সব উদ্যোগ। অথচ বিএনপি আমলে জনগণের বাক-স্বাধীনতা ও ন্যূনতম নাগরিক অধিকারও ছিল না। বিএনপি রাষ্ট্রযন্ত্রকে অপব্যবহার করে গোষ্ঠীতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিল।’


‘বিএনপির শাসনামলে বিদ্যুতের দাবি করায় নিরীহ মানুষকে গুলি করে হত্যা, সারের দাবিতে আন্দোলন করায় কৃষককে গুলি করে হত্যা,বেতন-বোনাস দাবি করায় পবিত্র রমজান মাসে মিছিলে গুলি চালিয়ে শ্রমিক হত্যাসহ জনগণের ওপর স্টিম রোলার চালানোর মধ্য দিয়ে এক বিভীষিকাময় পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল। রাষ্ট্রযন্ত্রকে অপব্যবহার করে বিরোধী দলকে নিশ্চিহ্ন করতে ২০০৪ সালের ২১ আগস্টের নারকীয় গ্রেনেড হামলার মতো ভয়াবহ গণহত্যা সংঘটিত করেছিল বিএনপি।’