বেড়ায় জমে উঠেছে ঈদ বাজার
উপজেলা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১:২৫ এএম, ১৬ই এপ্রিল ২০২৩

ঈদের দিন যত ঘনিয়ে আসছে ততই বেচা-কেনা জমে উঠছে পাবনার বেড়া উপজেলার হাট-বাজার গুলোতে। বেড়া পৌর এলাকা ছাড়াও প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে প্রতিদিন বিভিন্ন বয়সী মানুষ আসছেন কেনা-কাটা করার জন্য। সবচেয়ে বেশি ভির জমছে বিপনী বিতানগুলোতে। সকাল আটটা থেকে মাঝরাত পর্যন্ত চলছে ক্রেতাদের কেনা-কাটা। বাজারে হরেক রকমের পোশাক থাকলে সুতি এবং দেশীয় পোশাকের দিকে ঝুকছেন বেশি।
শুক্রবার (১৪ এপ্রিল) উপজেলার বিভিন্ন দোকান ঘুরে দেখা গেছে, ঈদের নতুন পোশাক কিনতে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বিপণী বিতান গুলোতে ছুটছেন নানা বয়সী মানুষ। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কারণে আয়ের সঙ্গে মিল রেখে কেনা-কাটা করছেন তারা। এছাড়াও ক্রেতাদের আকর্ষণ করতে প্রতিটি দোকান এবং শপিংমলে রাখা হয়েছে নতুন নতুন ডিজাইনের বিভিন্ন রকমের পোশাক। এসব পোশাকের পাশাপাশি নিত্য নতুন জুতা-স্যান্ডেলের প্রতি চাহিদা রয়েছে ছেলে-মেয়েদের।
পোশাকের সঙ্গে মিল রেখে অনেক তরুণ-তরুণীরা বেল্ট, মানিব্যাগ, ভ্যানিটিব্যাগ, চশমা সহ নানা ধরণের জুয়েলারী এবং কসমেটিক কিনছেন।সেইসাথে ব্যস্ততা বেড়েছে নতুন পোশাক তৈরির কারিগরদের (দর্জি) দিন-রাত পোশাক তৈরিতে দম ফেলার ফুসরত নেই তাদের। বিক্রেতারা যাতে করে বাড়তি দাম নিয়ে ক্রেতাদের ঠকাতে না পারে সে জন্য নজরদারির ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন উপজেলা প্রসাশন। নির্বাহী ম্যাজির্স্টেডের নেতৃত্বে প্রতিদিনই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে।
পোশাক কিনতে আসা আজিম উদ্দিন সরদার ও আশরাফুজ্জামান পলাশ বলেন, প্রচন্ড গরমের কারণে দেশীয় সুতি পোশাক কিনতে এসেছি। তবে গত বছরের চেয়ে তুলনামূলক ভাবে এ বছর পোশাকের দাম একটু বেশি। আমরা বিভিন্ন দোকান ঘুরে যাচাই করে পোশাক কিনব। বেড়া বাজারের মানিক বস্ত্র বিতাণের স্বত্বাধিকারী মো, মানিক হোসেন এ প্রতিবেদককে জানান, প্রচন্ড রোদ এবং খরার কারণে এ বছর সুতি এবং ঢিলেঢালা পোশাকের দিকে ক্রেতার ছুটছেন বেশি। ডিজাইনের কারণে মোকামে পণ্যের দাম বেশি হওয়ায় আমাদেরও বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। যার ফলে এ বছর পোশাকের দাম একটু বেশি।
বিজ্ঞাপন
পাঠকপ্রিয়
আরও পড়ুন

২১৪ বছরেও স্কুলে নেই নতুনত্বের ছোঁয়া, ছাদ থেকে খসে পড়ছে কংক্রিট

জয়পুরহাটে মাদ্রাসায় নিয়োগে জালিয়াতি: ৯ লাখ ১৪ হাজার ১৫০ টাকা বেতন–ভাতা ফেরতের নির্দেশ

মান্দায় ভিমরুলের কামড়ে প্রতিবন্ধী যুবকের মৃত্যু

এবার রাজশাহীর মাইজভান্ডারী দরবারে হামলা-ভাঙচুর বিক্ষুব্ধ জনতার
