তারেকের অতি লোভে টাটার বিনিয়োগ বঞ্চিত হয় বাংলাদেশ: জয়
নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১:৪৫ পিএম, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২

তারেক রহমান ও তার সঙ্গী গিয়াসউদ্দিন মামুনের অনিয়ন্ত্রিত লোভের খেসারত বাংলাদেশকে দিতে হয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। তিনি বলেন, ‘বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের অতিলোভের কারণে ২০০৫ সালে টাটার তিন বিলিয়ন ডলারের মেগা বিনিয়োগ থেকে বাংলাদেশ বঞ্চিত হয়েছিল।’
রবিবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) নিজের
ভ্যারিফাইড ফেসবুক পেজে এই সংক্রান্ত একটি ভিডিওবার্তায় তিনি এসব কথা বলেন।
ভিডিওবার্তায় জয় প্রশ্ন তোলেন,
‘কেন টাটা কোম্পানি সেই সময় বাংলাদেশে তিন বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগে অতি আগ্রহী হওয়া সত্ত্বেও
শেষ মুহূর্তে সরে আসে? কেন এদেশের যুব সমাজ তাদের কর্মসংস্থানের বিশাল সুযোগ থেকে বঞ্চিত
হয়?’ তিনি আরও জয় বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে (২০০১ থেকে ২০০৬) তাদের কুকীর্তির
কারণে বাংলাদেশ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয় টাটাসহ অনেক বিদেশি বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান।’
জয় বলেন, ‘‘২০০৫ সালের ৮ মে
সাবেক জ্বালানি উপদেষ্টা মাহমুদুর রহমান ঘোষণা করেন, টাটা বাংলাদেশে তিন বিলিয়ন ডলার
বিনিয়োগ করতে প্রস্তুত, যা অতীতের সব বিদেশি বিনিয়োগকে ছাড়িয়ে যেতো। পরিকল্পনা মোতাবেক
ভারতীয় প্রতিষ্ঠানটি ২৫ বছরের নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহের বিনিময়ে এদেশের রাসায়নিক
সার ও ইস্পাত শিল্পে বিনিয়োগে আগ্রহী ছিল। শুধু তাই নয়, এই বিনিয়োগ চুক্তি সফল হলে
বাংলাদেশ টাটার কাছ থেকে ১০ শতাংশ শেয়ারেরও
অংশীদার হতো। কিন্তু সেসময় টাটার পরিচালনা পর্ষদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত সভায় তারেক
এবং তার ‘ডানহাত’ খ্যাত গিয়াসউদ্দিন মামুন ও
সিলভার সেলিম রতন টাটার সঙ্গে আলাদাভাবে একান্ত বৈঠক দাবি করেন। এমন দাবির পরিপ্রেক্ষিতে
তখন বাকি পরিচালকরা উঠে যান। পরে রতন টাটার সামনে ঝেড়ে কাশেন গিয়াসউদ্দিন মামুন। এসময়
তিনি রতন টাটাকে ১০ শতাংশ কমিশনের প্রস্তাব দেন। কিন্তু এ প্রস্তাব শোনা মাত্র টাটার
মালিক তা প্রত্যাখ্যান করেন। কিন্তু দাবিতে
অনড় থাকেন তারেক।’
প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও প্রযুক্তি
উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘এক পর্যায়ে রতন টাটা গিয়াসউদ্দিনের ব্যাংক হিসাবের তথ্য তলব করে
সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া ও দুবাইয়ের থাকা বিভিন্ন ব্যাংকে লেনদেনের হদিস পান।’ তিনি
আরও বলেন, ‘একান্ত বৈঠকে গিয়াসউদ্দিন প্রথম দফায় ২০০ কোটি ও পরে জাতীয় নির্বাচন বাবদ
আরও ১০০ কোটি টাকা দাবি করেন। ওই বৈঠকের পর রতন টাটা ভারতের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা বরাবর
এক চিঠিতে তারেক ও গিয়াস উদ্দিন মামুনের এই ঘুষ চাওয়ার ঘটনা ফাঁস করে দেন।’
উল্লেখ্য, টাটার কাছে তারেক-মামুনের
ঘুষ দাবি করার ওই ঘটনা ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের দরবার পর্যন্ত গড়ায়।
পরে টাটা গ্রুপ নিয়ম অনুযায়ী প্রজেক্ট বাতিল করে। সুত্র: বাসস
ওআ/
বিজ্ঞাপন
পাঠকপ্রিয়
আরও পড়ুন

ঢাবি শিক্ষার্থীরা মুক্ত পরিবেশে নেতৃত্ব বেছে নিয়েছে: শিবির সভাপতি

ডাকসু নির্বাচনে বিজয় পেলেও মিছিল নয়, শান্ত থাকার নির্দেশ জামায়াতের

প্রাথমিকে সঙ্গীতের ওপর গুরুত্ব আরোপ জাতির ভবিষ্যতের জন্য হুমকি

ডাকসু নির্বাচনে বড় কোনো অসঙ্গতি পাওয়া যায়নি: শিক্ষক নেটওয়ার্ক
