গভীর রাতে পরকীয়া প্রেমিকসহ প্রবাসীর স্ত্রী আটক
জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১:২৩ পিএম, ১২ই ফেব্রুয়ারি ২০২৪

ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার কুতবা ৬নং ওয়ার্ডে পরকীয়া প্রেমিকসহ স্বামীর ঘর থেকে প্রবাসীর স্ত্রী ও এক সন্তানের জননী ইমা আক্তার (২৩) মো.শামিম (২৫)কে হাতেনাতে আটক করেছে স্থানীয়রা।
সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সরেজমিনে গিয়ে স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, গতকাল ১১ফেব্রুয়ারি সকালে উপজেলার কুতবা ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের ওয়াহিদ জমাদারের প্রবাসী ছেলে মো. কবির হোসেনের স্ত্রী ইমা আক্তারকে পরকীয়া প্রেমিক একই উপজেলার কাচিয়া ৮ নং ওয়ার্ডের বৌদ্দের পোল বাজারের পশ্চিম পাশে চান গাজী বাড়ীর মফিজল হক গাজীর ছেলে শামীমের সাথে হাতেনাতে আটক করে। এ বিষয় এর আগেও কয়েকবার সালিশ দরবার হয়েছে বলেও জানায় তারা।
আরও পড়ুন: পুলিশের মাদকবিরোধী অভিযানে গাঁজাসহ আটক
এক সন্তানের মা ওই গৃহবধুর শ্বশুর মো. ওয়াহিদ জমাদার জনবাণীকে জানান, গত শনিবার সন্ধ্যায় আমার প্রবাসী ছেলের স্ত্রীর রুমে অন্য মানুষের উপস্থিতি থাকার বিষয়টি আমার সন্দেহ হয়। বিষয়টি রাতে আশপাশের লোকদের জানালে পরদিন সকালে স্থানীয়রা এসে ঘেরাও দিয়ে পুত্রবধূর রুমের বাথরুমের সানসেট থেকে শামীমকে ধরে নিচে নামিয়ে এনে ওয়ার্ড মেম্বার কে খবর দেই। তিনি আরো জানান এর আগে আমার ছেলের বউ আমার স্ত্রীকে ঘুমের ঔষধ খাইয়ে, তার কাছ থেকে চাবি নিয়ে টাকা পয়সা স্বর্ণালংকার চুরি করে নিয়ে গেছে, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে আমি বিষয়টি জানিয়েছি।
এ বিষয় কুতবা ৬নং ওয়ার্ডের মেম্বার মো.কামাল পণ্ডিত জানান খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে এসে ছেলে মেয়ের উভয়ের অভিভাবকদের আসতে বলেছি, এর আগেও ইমা আক্তার এর পরকীয়ার বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার শালিশ বৈঠক হয়েছে কিন্তু কোন সুরাহা হয়নি।
ইমা আক্তার এর মামা শ্বশুর রুহুল আমিন জানান জানান, ভাগিনা বিদেশে থাকার সুযোগে সে পরকিয়ায় লিপ্ত হয়। এর আগেও সে কয়েক বার প্রেমিকসহ ধরা পড়ে। কয়েকবার বিচার শালিস হয়। আমরা এসবের প্রতিবাদ করায় মামলা দিয়ে হয়রানি করবে বলে হুমকি দেয়।
আটককৃত প্রেমিক শামিম জানায়, কয়েক মাস আগে মোবাইলে রং নাম্বারে তাদের পরিচয় হয়। এরপর মোবাইল ও ম্যাসেঞ্জারে যোগাযোগ করে গোপনে ইমার ঘরে আসা-যাওয়া করতো।
এদিকে ইমা আক্তার জানায়, সে কোনো পরকিয়া করেনি শামিম এর সাথে তার মাঝেমধ্যে মোবাইল ফোনে কথা হত, শামিম তার সাথে দেখা করতে তার বাসায় আসতে চাইলে সে বারবার বারণ করা সত্যেও শামীম চলে আসে, তাই তার শশুরের ভয়ে তাকে রাত্রিবেলা বাথরুমের সানসেটে লুকিয়ে রাখি।
এদিকে শামীমের এলাকায় খোজ নিয়ে জানাগেছে , শামীম তার এলাকায় জ্বীনের বাদশা হিসেবে পরিচিত।
আরও পড়ুন: ভোলায় পুলিশের অভিযানে দুই অপহৃত উদ্ধার, আটক ৩
পরবর্তীতে একই দিন রাত ১০ টায় উভয়ের অভিভাবক ঘটনা স্থলে উপস্থিত হলে দিনক্ষণ ঠিক করে স্থায়ীভাবে সালিশ বৈঠকের মাধ্যমে বিষয়টিকে সুরাহা করা হবে মর্মে এলাকাবাসী সহ কুতবা ৬নং ওয়ার্ডের ইউপি মেম্বার কামাল পণ্ডিত, ইমা আক্তারকে তার মা এবং খালার জিম্মায় পাঠিয়ে দেন, আর পরকিয়া প্রেমিক শামীম কে টবগী ইউপি মেম্বার মো. পারভেজ এর জিম্মায় ছেড়ে দেন।
বোরহানউদ্দিন থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহিন ফকিরব জানান, কুতবা ৬ নং ওয়ার্ডের স্থানীয়দের পরকিয়া প্রেমিক যুগল আটকের ঘটনা সম্পর্কে আমি এখনো কিছু জানিনা, অভিযোগও পাইনি, অভিযোগ পেলে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরএক্স/