ঢাবিতে শেখ হাসিনার নতুন গ্রাফিতিতে জুতার মালা


Janobani

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০১:৪৬ অপরাহ্ন, ৩০শে ডিসেম্বর ২০২৪


ঢাবিতে শেখ হাসিনার নতুন গ্রাফিতিতে জুতার মালা
ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য সংলগ্ন মেট্রোরেলের পিলারে পতিত শাসক শেখ হাসিনার মুছে ফেলা গ্রাফিতি আবারো আঁকা হয়েছে।


রবিবার (২৯ ডিসেম্বর) দিনগত রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে ঘোষণা দিয়ে এটি আঁকা হয়।


আরও পড়ুন: পুলিশের মধ্যে অপরাধীদের বিচার অবশ্যই নিশ্চিত করা হবে: প্রধান উপদেষ্টা


সোমবার সেই গ্রাফিতিতে জুতার মালা ঝুঁলিয়ে দিয়েছে ছাত্র-জনতা। এছাড়াও উপস্থিত ছাত্র-জনতা শেখ হাসিনার ছবিতে জুতা নিক্ষেপ করছেন।


সরেজমিনে দেখা গেছে, মেট্রোরেলের পিলারে পলাতক শেখ হাসিনার গ্রাফিতিতে জুতা নিক্ষেপ করতে শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি অনেকেই অংশ নিয়েছেন। সবাই সেই গ্রাফিতিতে জুতা নিক্ষেপ করছেন। এসময় তারা শেখ হাসিনাকে খুনি হাসিনা, ফ্যাসিস্ট স্বৈরাচারসহ বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছেন। এছাড়াও অতিদ্রুত তাকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের কথা বলছেন।


জানা গেছে, বিগত সরকারের সময়ে আওয়ামী লীগের প্রচারের অংশ হিসেবে মেট্রোরেলের পিলারে শেখ হাসিনার ওই ছবি আঁকা হয়েছিল। গণঅভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ অগাস্টে সরকার পতনের পর শেখ হাসিনার ওই ছবিতে লাল রঙের ছোপ দিয়ে তাতে জুতার মালা পরিয়ে দেওয়া হয়। ছবিটি জনতার ক্ষোভ ও ঘৃণার প্রতীক হয়ে ওঠে।


গত শনিবার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নির্দেশে ছবিটি মুছে ফেলা হলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন শিক্ষার্থীরা। তারা প্রক্টরের পদত্যাগ দাবি করেন। পরে রবিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দুঃখ প্রকাশ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।


বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৮ ডিসেম্বর দিনগত গভীর রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পেছনে মেট্রোরেলের দুটি পিলারে থাকা শেখ মুজিব এবং স্বৈরাচার শেখ হাসিনার ঘৃণাসূচক গ্রাফিতি মুছে ফেলার চেষ্টা করা হয়। জুলাই আন্দোলনে এই দুটি গ্রাফিতি বিপ্লব, প্রতিরোধ এবং ফ্যাসিবাদ ধ্বংসের প্রতিনিধিত্ব করে।


বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, এই স্মৃতিকে তাজা রাখা এবং প্রজন্মান্তরে ছড়িয়ে দেওয়া আমাদের দায়িত্ব। এটি প্রক্টরিয়াল টিমের অনিচ্ছাকৃত ভুল। এ জন্য আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি। ভবিষ্যতে এ ব্যাপারে আমরা আরও সতর্ক থাকার অঙ্গীকার করছি।


আরও পড়ুন: ব্রিটিশ পার্লামেন্টে তুলে ধরা তথ্য সঠিক নয়: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা 


বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রক্টরিয়াল টিমের উপস্থিতিতে শিক্ষার্থীরা মুছে ফেলা গ্রাফিতি অতিদ্রুত সময়ের মধ্যে এঁকেছেন। এ স্তম্ভটিকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আনুষ্ঠানিক ঘৃণা স্তম্ভ হিসেবে স্বীকৃতি দেবে। ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে ছাত্র জনতার এই ঘৃণাকে যুগ যুগ ধরে সংরক্ষণের দায়িত্ব বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন গ্রহণ করবে।


আরএক্স/