বিচারের কথা বলে দ্বিচারিতা করা হচ্ছে : ইশরাক
বিশেষ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:০৫ অপরাহ্ন, ২৬শে মার্চ ২০২৫

বিএনপি চেয়ারপার্সনের পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা কমিটির বিশেষ সহকারি ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন বলেছেন, রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার বিষয়ে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে উত্থাপিত হলে সেখানেও আপত্তি আসে। তার মানে তাদের ভিতরেও এ বিষয়টি দ্বিবিভক্ত।
তিনি বলেন, ৮ মাস অতিবাহিত হলেও গণহত্যার বিচার হচ্ছে না। সকল হত্যাকারীর ভিডিও ফুটেজ আছে। শেখ হাসিনার নির্দেশনার বক্তব্য রয়েছে। বিচারও করছেন না, আবার বলছেন বিচার না হলে নির্বাচন হবে না। এ দ্বিচারিতা জনগণ বুঝে।
বুধবার (২৬ মার্চ) রাজধানীর গোপীবাগে সাদেক হোসেন খোকা স্মৃতি সংসদের উদ্যাগ্যে বেগম খালেদা জিয়ার সুস্বাস্থ্যে কামনায় এক দোয়া ও ইফতার মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।
ইশারক হোসেন বলেন, ৫ আগষ্টের রক্তাক্ত বিপ্লবের পর দেশের অতীত ইতিহাস মুছে ফেলার চক্রান্ত হয়েছে। বলা হয়েছে দেশ নতুন করে স্বাধীন হয়েছে। আসলে আমরা স্বাধীনতা ফেরত পেয়েছি। প্রকৃত স্বাধীনতা আমরা ৭১ সালেই অর্জন করেছি। মূলত ৭১-এর পরাজিত শত্রুরাই এগুলো বলে ফায়দা হাসিলের চেষ্টা করছে। ৭১ আর ২৪ এক বিষয় নয়। বরং এসব বলে মুক্তিযুদ্ধের সময় নিহত লাখো শহীদ এবং যাদের সম্ভ্রমহানি হয়েছে তাদের অসম্মান করা হয়েছে।
তিনি বলেন, কেউ কেউ বলছেন জুলাই বিপ্লবে তারা একাই করেছেন। আর কেউ ছিলো না। এগুলো ৭১-সালের পরাজিত শক্তির বক্তব্য। বিএনপি ও ছাত্রদলই এ আন্দোলনে মূখ্য ভূমিকা রেখেছিলো। ৭১-এর কৃতিত্ব যেভাবে হাসিনা এককভাবে নেওয়ার চেষ্টা করেছিলো, একই কায়দায় কেউ কেউ নিজ কৃতিত্ব জাহির করার অপচেষ্টা করেছেন।
প্রকৌশলী ইশরাক বলেন, গণতন্ত্রের মূল স্তম্ভ ভোট। যা আমাদের অধিকার। আজকে এ কারণে ও কারণে নির্বাচন দেওয়া যাবে না। আমাদের অধিকার নিয়ে কেউ ছিনিমিনি খেললে আমরা ঘরে বসে থাকবো না।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করে বিএনপি। এ দলটি প্রতিষ্ঠা করেছে রণাঙ্গনের সম্মুখ যোদ্ধারা। আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিক্রি করে চললেও সে দলের নেতৃত্বে কোন সম্মুখ যোদ্ধা নেই।
তিনি বলেন, যে যেভাবে পারছে তাই করছে। চারিদিকে দাবিদাওয়ার নামে রাস্তা অবরোধ, যে যেদিকে পারছে দোকান বসাচ্ছে, একে মারছে, ওর ওপর হামলা হচ্ছে। এভাবে অব্যাহত থাকলে দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্রকারীরা সুযোগ পাবে। তৃতীয় পক্ষ যারা নির্বাচন বানচাল করার চেষ্টা করছে তাদের কোনভাবেই সফল হতে দেওয়া হবে না।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রদলের সাবেক আহবায়ক পাভেল সিকদারের সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য রাখেন বিএনপির সহ স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. পারভেজ রেজা কাকন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এসএম জিলানী, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শ্রমিক দলের আহবায়ক সুমন ভূইয়া, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক রহিম ভূইয়া, বিএনপি নেতা সাজ্জাদ হোসেন সিদ্দিকী লাভলু, মাশরুল হোসেন প্রমুখ।
আরএক্স/
বিজ্ঞাপন
পাঠকপ্রিয়
আরও পড়ুন

খেলাধুলা ও ক্রীড়াঙ্গন রাজনীতি মুক্ত থাকা উচিত : মির্জা ফখরুল

তারেক রহমানের দেশে ফেরার নেপথ্যে নিরাপত্তা ও নির্বাচন

রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমারের ওপর চাপ বাড়াতে সরকারকে তারেক রহমানের আহ্বান

তুষারের সঙ্গে কথা বলা সেই এনসিপি নেত্রীর পরিচয় মিলল
