আ. লীগ নিষিদ্ধ না হলে দেশে কোনো নির্বাচন হবে না: আখতার


Janobani

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৮:২৩ অপরাহ্ন, ২রা মে ২০২৫


আ. লীগ নিষিদ্ধ না হলে দেশে কোনো নির্বাচন হবে না: আখতার
ছবি: সংগৃহীত

আওয়ামী লীগের প্রশ্ন অমীমাংসিত রেখে দেশে কোনো নির্বাচন হবে না বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেন। তিনি বলেন, যারা আওয়ামী লীগকে প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করবে তাদের বিরুদ্ধে ছাত্রসমাজ কঠিন দুর্গ গড়ে তুলবে। আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে সব রাজনৈতিক দল মিলে রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে।


শুক্রবার (২ মে) রাজধানীর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের দক্ষিণ গেটে এনসিপি ঢাকা মহানগর আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে এসব কথা বলেন আখতার হোসেন।


এ সময় আওয়ামী লীগকে ‘মানবতাবিরোধী অপরাধী’ আখ্যা দিয়ে এনসিপির সদস্য সচিব বলেন, আওয়ামী লীগ দেশের জনগণের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস চালিয়েছে, গণহত্যা করেছে, দেশের মানুষের ওপর নির্যাতন চালিয়েছে। সেই দলটি আর কোনোভাবে বাংলাদেশের রাজনীতি করার অধিকার রাখে না।


আরও পড়ুন: নির্বাচন নিয়ে মানুষের মধ্যে অস্থিরতা শুরু হয়েছে: জয়নুল আবদিন


তিনি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রশ্নে বলেন, যে সরকার গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে এসেছে, সেই সরকারের ম্যান্ডেট নিয়ে কাজ করতে হবে। সুশীল তত্ত্বাবধায়ক সরকার আর কোনোভাবে গ্রহণযোগ্য নয়। বর্তমান পরিস্থিতিতে জনগণের মধ্যে যে গণঅভ্যুত্থান হয়েছে, সেটি সরকারের প্রকৃত ক্ষমতার ভিত্তি।


আখতার হোসেন আরও বলেন, এখন পর্যন্ত আওয়ামী লীগের নিবন্ধন রয়েছে কিন্তু আমরা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলতে চাই– আওয়ামী লীগের নাম নিবন্ধন খাতা থেকে কেটে দিতে হবে। এটি কোনোভাবেই দেশ পরিচালনার জন্য উপযুক্ত দল নয়।


জাতীয় পার্টির সমালোচনা করে তিনি বলেন, জাতীয় পার্টি ছিল আওয়ামী লীগের স্বৈরাচারের প্রতিষ্ঠাতা। আজও তারা দেশে স্বৈরাচারের রাজনীতি প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছে। শুধু আওয়ামী লীগ নয়, তাদের দোসর এবং যারা রাজনৈতিক দল বা সুশীল ব্যক্তিত্ব হিসেবে পরিচিত– তাদের বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।


আরও পড়ুন: সাংস্কৃতিক দলের কেন্দ্রীয় সহ সাধারণ সম্পাদক হলেন মজনুর


এনসিপির সদস্য সচিব বলেন, ৫ আগস্ট বাংলাদেশের জনগণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে আওয়ামী লীগের নামে মুজিববাদী আদর্শে কোনো রাজনীতি চলতে পারে না। আজকের জনগণই তাদের ভাগ্য নির্ধারণ করবে।


আখতার হোসেন বলেন, এনসিপি আগেও শক্তিশালী আন্দোলনের মাধ্যমে দেশের রাজনীতিতে প্রভাব ফেলেছে এবং ভবিষ্যতেও রাজনৈতিক সিদ্ধান্তে জনগণের ঐক্যের মাধ্যমে চূড়ান্ত বিজয় অর্জন করবে।


এমএল/