ছাত্র আন্দোলন ভণ্ডুলে গ্যালাক্সির ওয়ালিদের বাজেট ছিল ৫ কোটি
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:৫২ পূর্বাহ্ন, ১৮ই মে ২০২৫

* ফারুক খানের ছত্রছায়ায় এভিয়েশন খাতে একক নিয়ন্ত্রণ
* হাসিনার নির্দেশে ঢাকায় অরাজকতা
* ক্ষমতার উৎস ছিলেন বেনজির
দেশের এভিয়েশন খাতের মাফিয়ার তকমা পেয়েছেন গ্যালাক্সির প্রেসিডেন্ট ও সিইও আহমেদ ইউসুফ ওয়ালিদ। তিনি পতিত স্বৈরাচার সরকারের দোসর হয়ে ব্যাপক লুটপাট চালিয়েছেন। তাকে মানবপাচারকারী দলের মাষ্টার মাইন্ডও বলা হয়ে থাকে। তিনি সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের ঘনিষ্ঠ সহযোগী। তার মিস্টি হাসির আড়ালে ভয়ংকর চরিত্র।
অভিযোগ আছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঠেকাতে মাঠে ৫ কোটি টাকা ব্যয় করেছেন আহমেদ ইউসুফ ওয়ালিদ। তিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ঢাকার বিভিন্ন স্থানে তার লোক দিয়ে অরাজকতা সৃষ্টি করিয়েছিলেন। ঠিক একইভাবে তিনি ব্যবসায়ীক প্রতিদ্বন্দ্বীকে নানাভাবে হয়রানি করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
আবার অনেক জমি দখল করে রামরাজত্ব কায়েম করেছেন এই মাফিয়া খ্যাত ইউসুফ ওয়ালিদ। তার কূটচালের আতঙ্কে থাকেন ব্যবসায়ীরা। জানাা গেছে, মহাদুর্নীতিবাজ সাবেক পুলিশ প্রধান বেনজীর আহাম্মেদ হলেন ইউসুফ ওয়ালিদের পারিবারিক আত্মীয়। সাবেক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খানের ছত্রছায়ায় একক নিয়ন্ত্রণ করতেন এভিয়েশন খাতে।
সূত্র মতে, ইউসূফ ওয়ালিদের ঢাকা বিমানবন্দরে রয়েছে নানা ধরনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। ঢাকার বিভিন্ন অভিজাত এলাকায় প্লট ও ফ্ল্যাট রয়েছে তার। ইউসূফ ওয়ালিদের বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের অভিযোগও রয়েছে, যা তদন্ত করছে বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)।
এদিকে বর্তমানে অ্যাসোসিয়েশন অব ট্রাভেল এজেন্টস্ অব বাংলাদেশের (আটাব) নেতৃত্ব কজ্বায় নিতে মাঠে নেমেছেন আহমেদ ইউসুফ ওয়ালিদ। করছেন বিভিন্ন ভুয়া তথ্য চালাচালি। গ্যালাক্সির প্রেসিডেন্ট ও সিইওর দায়িত্ব পেয়ে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। মানবপাচারের মাস্টার মাইন্ড হয়ে উঠেছেন তিনি। ব্যক্তিজীবনেও তার নৈতিকতা বা মানবিকতার বালাই নেই। কিশোর বয়স থেকেই ছিল অর্থের লোভ। প্রতিবেশী কিংবা কর্মচারীরা বিভিন্ন সময় তার কাছে শারীরিক লাঞ্ছনার শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। সম্প্রতি দুর্নীতি দমন কমিশনে জমা পড়া একটি অভিযোগপত্র থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
উল্লেখ্য, সরকারি হস্তক্ষেপের আগে ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ঢাকা থেকে জেদ্দা, রিয়াদ, মদিনা ও দাম্মামের মতো শহরগুলোতে টিকিটের দাম ১ লাখ ৯০ হাজার টাকা পর্যন্ত উঠেছিল। এতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হন বিদেশগামী শ্রমিকরা। সরকারি হস্তক্ষেপের ফলে বর্তমানে ওই রুটগুলোর টিকিটের দাম গড়ে ৪৮ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকার মধ্যে, যা পূর্বের তুলনায় প্রায় ৭৫ শতাংশ কম।
এ ব্যাপারে জানতে গ্যালাক্সির প্রেসিডেন্ট ও সিইও আহমেদ ইউসুফ ওয়ালিদকে মুঠোফোনে কল দিলে তিনি রিসিভ করেননি। এমনকি ক্ষুদে বার্তা পাঠিয়ে উত্তর মেলেনি।
আরএক্স/