ট্রেনে ঈদযাত্রা শুরু, নাড়ির টানে বাড়ির পানে ছুটছে মানুষ

পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে পরিবার-পরিজনের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে রাজধানী ছাড়বেন অধিকাংশ মানুষ। এরই মধ্যে ঢাকা ছাড়তে শুরু করেছে নগরবাসী। যাত্রীদের ঈদযাত্রা নির্বিঘ্নে কাটাতে বিশেষ ব্যবস্থায় ট্রেন পরিচালনা করছে বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। 

শনিবার (৩১ মে) সকাল ৬টা থেকে সাড়ে ৯টা পর্যন্ত ঢাকা থেকে দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে মোট ১২টি আন্তঃনগর ট্রেন ছেড়ে গেছে।

এ সময় কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন ঘুরে দেখা যায়, ভোর থেকেই স্টেশনে আসতে শুরু করে যাত্রীরা। যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তিন স্তরের চেকিংয়ের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এদিকে টিকিটবিহীন কোনো যাত্রীকে স্টেশনে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি।

আরও পড়ুন: বিশ্ব দুগ্ধ দিবস উপলক্ষে সাইকেল র‍্যালি

স্টেশনে আসা যাত্রীরা জানান, শিক্ষার্থী ও চাকরিজীবী পরিবারের সদস্য, ঈদের আনন্দ ভাগ করতে বাড়ির উদ্দেশে রওনা হচ্ছেন।

বাংলাদেশ রেলওয়ের এক কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, যাত্রীদের ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে সকল চেষ্টাই আমরা করেছি। প্রত্যেকটি ট্রেন ঢাকায় আনা হয়েছে গত রাতের মধ্যে। এখন ট্রেনগুলো নির্ধারিত সময়ে ছেড়ে যাচ্ছে।

উল্লেখ্য, ঈদ উপলক্ষে শনিবার (৩১ মে) থেকে শুরু হচ্ছে বিশেষ ট্রেনযাত্রা। এ সময় ট্রেনের সময়ানুবর্তিতা বজায় রাখা ও শিডিউল বিপর্যয় নিরসনে বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। এর মধ্যে নিরাপদ ও সুষ্ঠুভাবে ট্রেন পরিচালনা নিশ্চিত করে যাত্রীসেবা প্রদানের ক্ষেত্রে সময়ানুবর্তিতা রক্ষার জন্য ডিভিশনাল ও জোনাল কন্ট্রোলে আলাদা আলাদা মনিটরিং সেল গঠন করে কর্মকর্তাদের ইমার্জেন্সি ডিউটি দেয়া হবে।

ঈদ উপলক্ষে বাংলাদেশ রেলওয়ের নেওয়া কর্মপরিকল্পনা থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

আরও পড়ুন: জাপান থেকে দেশের পথে প্রধান উপদেষ্টা

কর্মপরিকল্পনায় বলা হয়েছে, সময়ানুবর্তিতা রক্ষায় বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ও জংশন স্টেশন এবং সিগন্যাল কেবিনে কর্মকর্তা ও পরিদর্শকদের তদারকির মাধ্যমে ট্রেন পরিচালনা করা হবে। দুর্ঘটনা প্রতিরোধ ও ট্রেন শিডিউল অক্ষুণ্ন রাখার স্বার্থে রেলপথ প্যাট্রোলিংয়ের ব্যবস্থা করা হবে।

এতে আরও বলা হয়, ঈদ উপলক্ষে অতিরিক্ত যাত্রী চাহিদা পূরণের জন্য পাহাড়তলী ওয়ার্কশপ থেকে ২৯টি এমজি ও সৈয়দপুর ওয়ার্কশপ থেকে ১৫টি বিজি কোচসহ সর্বমোট ৪৪টি কোচ যাত্রীবাহী সার্ভিসে যুক্ত করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। এ ছাড়া ঈদ উপলক্ষে মোট ২৭টি (পূর্বাঞ্চলে এমজি ১৮টি ও পশ্চিমাঞ্চলে বিজি ৯টি) লোকোমোটিভ যাত্রীবাহী ট্রেনে ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত রাখা হবে।

এমএল/