আর্মির উচিত হেলিকপ্টার দিয়ে নেতাদের উদ্ধার করা: রাফি


Janobani

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৫:১০ পিএম, ১৬ই জুলাই ২০২৫


আর্মির উচিত হেলিকপ্টার দিয়ে নেতাদের উদ্ধার করা: রাফি
ফাইল ছবি।

গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর কেন্দ্রীয় নেতাদের ওপর হামলা এবং অবরুদ্ধ অবস্থার প্রেক্ষাপটে সেনাবাহিনীর মাধ্যমে হেলিকপ্টার ব্যবহার করে দ্রুত তাদের উদ্ধার করার আহ্বান জানিয়েছেন গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক খান তালাত মাহমুদ রাফি।


বুধবার (১৬ জুলাই) বিকেলে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক পোস্টে রাফি লিখেছেন, “আপাতত আর্মির উচিত হেলিকপ্টার দিয়ে নেতাদের উদ্ধার করা। এইটা ফার্স্ট প্রায়োরিটি। এখানে আবেগ দেখালে চলবে না।”


তিনি আরও দাবি করেন, “ওদের (হামলাকারীদের) হাতে প্রচুর অস্ত্র আছে। আর ওরা নাহিদ-হাসনাতরা যেখানে আছে, ওখানে আগুন দেওয়ার চেষ্টা করতেছে। গোপালগঞ্জ থেকে বের হওয়ার সমস্ত রাস্তা ব্লক। আওয়ামী লীগ অপেক্ষা করতেছে রাত নামার।”


রাফির বক্তব্য অনুযায়ী, গোপালগঞ্জে বর্তমানে অবস্থানরত এনসিপির নেতারা—নাহিদ, হাসনাত, সারজিস—জেলা প্রশাসনের সহায়তায় সার্কিট হাউসে আশ্রয় নিয়েছেন, তবে সেখানেও নিরাপত্তা ঝুঁকি রয়েছে।


পোস্টে রাফি আরও বলেন, “রাতের আগেই নেতাদের হেলিকপ্টার দিয়ে উদ্ধার করেন। তারপর রাতটা প্রিপারেশন নিয়ে কাল কয়েক লাখ নিয়ে গোপালগঞ্জ ঢুকে মাটির সাথে মিশিয়ে দেওয়া যাবে। আপাতত নাহিদ, হাসনাতদের জীবন বাঁচানো জরুরি।”


এর আগে এনসিপির ঘোষিত “জুলাই পদযাত্রা” কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে দুপুরে গোপালগঞ্জ শহরে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। এনসিপির সমাবেশস্থলে হামলা, ককটেল বিস্ফোরণ, চেয়ার-মাইক ভাঙচুর এবং র‍্যাব-পুলিশের উপস্থিতি থাকা সত্ত্বেও অবরোধ তৈরি করে হামলাকারীরা।


স্থানীয় সূত্র ও গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, হামলার পেছনে সরকারি দল সমর্থিত স্থানীয় একটি ছাত্র সংগঠনের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।


পরে প্রশাসনের পক্ষ থেকে গোপালগঞ্জ শহরে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। তবে এনসিপি দাবি করছে, তারা প্রশাসনের অনুমতি নিয়েই সমাবেশ করছিল।


রাফির আহ্বান অনুযায়ী, সেনাবাহিনী হেলিকপ্টার ব্যবহার করে জরুরি ভিত্তিতে নেতাদের উদ্ধার করুক—এই দাবি এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তীব্র আলোচনার জন্ম দিয়েছে। কেউ একে অত্যন্ত জরুরি পদক্ষেপ হিসেবে দেখছেন, আবার কেউ বলছেন এটি পরিস্থিতিকে আরও উত্তপ্ত করতে পারে।


এ বিষয়ে এখনো পর্যন্ত প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।


আরএক্স/