পুলিশের ওপর হামলা করে আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগে বিএনপি নেতা গ্রেপ্তার
উপজেলা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৩:১৬ পিএম, ১৯শে আগস্ট ২০২৫

জামালপুরের মাদারগঞ্জে সরকারি কাজে বাধা ও পুলিশের ওপর হামলা করে কুখ্যাত ইয়াবা কারবারিকে ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগে চর পাকেরদহ ইউনিয়নের ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবু সাইদকে (৩৫) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
তিনি চর পাকেরদহ ইউনিয়নের চর পাকেরদহ পশ্চিম পাড়া এলাকার আলহাজ নুরুল ইসলামের ছেলে।
মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) সকাল ১০টায় তাকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন মাদারগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল্লাহ সাইফ।
জানা যায়, উপজেলার ১ নং চর পাকেরদহ ইউনিয়নের চর পাকের দহ গ্রামের কালু মন্ডলের ছেলে কুখ্যাত কারবারি নাছির @ চিকু (২৫) দীর্ঘদিন ধরে রাজনৈতিক নেতাদের ছায়া নিয়ে অবাধে এলাকায় ইয়াবাসহ মাদকের কারবার করে আসছে।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ৩৩ পিচ ইয়াবাসহ গত শনিবার রাত পৌনে ১০টায় পশ্চিম চর পাকেরদহ গ্রামের বাংলা বাজার এলাকায় আসলে ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবু সাইদের নেতৃত্বে পুলিশের ওপর হামলা করে আসামি ছিনিয়ে নেওয়া হয়।
হামলায় এএসআই মুজিবুর রহমান, এএসআই নাইমুর রহমান আহত হয়ে মাদারগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা গ্রহণ করে। পরে ঐ রাতে এসআই হাসিব আল মাহফুজ থানায় গিয়ে বলপূর্বক সরকারি কাজে বাধা দান ও পুলিশে আঘাত করার অপরাধে আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
মামলার পরেই পুলিশ রাতভর অভিযান করে ১ নং চর পাকেরদহ ইউনিয়নের পশ্চিম চর পাকের দহ গ্রামের দুদু মন্ডলের ছেলে মো: আজিজুল হক@ বাবু (৩২), ইদু মন্ডলের ছেলে মো: রাসেল (৩৪), আসাদ মন্ডলের ছেলে স্বপন (২৮), মরহুম কছর মন্ডলের ছেলে সুজা মন্ডলকে (৫৫) গ্রেপ্তার করে গত বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) আদালতে প্রেরণ করেন।
গ্রেপ্তারদের বিষয়টি নিশ্চিত করে মাদারগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল্লাহ সাইফ জানান, পুলিশ তল্লাশি করে ৩৩ পিচ ইয়াবাসহ কারবারি নাছির @ চিকুকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসার সময় বাংলা বাজার এলাকায় ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবু সাইদ পুলিশকে বাধা দিয়ে মাদক কারবারিকে
ছেড়ে দিতে বলে। পরে থানার পুলিশ সদস্যরা তার কথা রাজি না থাকায় তার নেতৃত্বে পুলিশের ওপর হামলা করে ধস্তাধস্তি করে আসামি ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
তিনি আরো জানান, আমরা ভিডিও ফুটেজ দেখে দেখে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় মূল আসামিদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার করার জন্য অভিযান করতেছি। পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা দায়েরের পর থেকেই মোট ৫ জনকে আসামিকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। পাশাপাশি অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান অব্যাহত থাকবে।
এসএ/