শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ, নেপাল: চার বছরে গণরোষের একই চিত্র
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ০১:২৫ পিএম, ১০ই সেপ্টেম্বর ২০২৫

গত চার বছরে শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ ও নেপালে জনতার রোষের একই রূপ দেখা গেছে। দেশগুলোয় পার্থক্য কেবল পতাকার রং ও স্লোগানে। তবে শেষপর্যন্ত ফলাফল অভিন্ন—জনতার বিক্ষোভে সরকারের পতন।
২০২২ সালে অর্থনৈতিক মন্দায় পড়া শ্রীলঙ্কায় বিক্ষুব্ধরা প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে ও প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহের সরকারি বাসভবন দখল করেছিল। ২০২৪ সালে বাংলাদেশের কোটাবিরোধী আন্দোলনে একের পর এক বিক্ষোভে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হন।
আরও পড়ুন: দেশব্যাপী লোডশেডিং হতে যাচ্ছে, থাকবে কতদিন
এবার নেপালেও একই চিত্র দেখা গেছে। সদ্য পদত্যাগ করা প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলির দল ও সহযোগীদের সদর দপ্তরে ছাত্র-যুবদের রোষ নেমে আসে। সরকারের মন্ত্রীরাও রেহাই পাননি; কিছু বাড়িতে আগুন লাগানো হয়, জনতা কেবল রাস্তায় প্রতিবাদেই সীমাবদ্ধ থাকেনি।
নেপাল সরকার গত সপ্তাহে ২৬টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বন্ধের ঘোষণা দিলে জনতা রাস্তায় নেমে আসে। সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) পুলিশের গুলিতে কাঠমান্ডুতে অন্তত ১৮ জন নিহত হন। এর পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার সকাল থেকে কেপি শর্মা ওলির পদত্যাগের দাবি আরও জোরালো হয় এবং শেষ পর্যন্ত তিনি পদত্যাগ করেন।
আরও পড়ুন: কাঠমান্ডুতে নামতে পারেনি বাংলাদেশের বিমান, ভোগান্তিতে যাত্রী
শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ ও নেপালে গণরোষের ধরন একই—জনতার নিশানা শাসকের ঠিকানা, সরকারের পতনের পথে জনরোষের প্রভাব।
আরএক্স/