ছাত্রদল ও ছাত্রশিবিরকে বিশৃঙ্খলায় না জড়ানোর নির্দেশনা
ক্যাম্পাস প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১:৫২ পিএম, ১০ই সেপ্টেম্বর ২০২৫

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের ফলাফলকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ ও দ্বন্দ্ব এড়াতে বিএনপি ও জামায়াত তাদের respective ছাত্র সংগঠনকে নির্দেশনা দিয়েছে। ডাকসু নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার আগে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে সরকারের পক্ষ থেকে দল দুটি’র হাইকমান্ডের সঙ্গে যোগাযোগের পর ছাত্রদল ও ছাত্রশিবিরকে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) গভীর রাতেই এই নির্দেশনা জারি করা হয়।
সরকারের পক্ষ থেকে স্পষ্টভাবে জানানো হয়েছে, বিশৃঙ্খলা করলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তা কঠোর হাতে দমন করবে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন আহমদ বলেন, “সরকার আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। আমরা নিশ্চিত করেছি যে ছাত্রদল সংঘর্ষ বা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করবে না। বিষয়টি ছাত্রদলের সংশ্লিষ্ট নেতাদের জানানো হয়েছে।”
জামায়াতে ইসলামীর এক নায়েবে আমির মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ১২টার দিকে সরকারের পক্ষ থেকে তাদের সঙ্গে যোগাযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, “ছাত্রশিবির বা জামায়াতের বাইরের কেউ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করবে না। নেতাকর্মীদের সতর্ক দৃষ্টি রাখতে বলা হয়েছে।”
রাজনৈতিক দল দুটি’র একাধিক সূত্র জানায়, অন্তর্বর্তী সরকারের তিন উপদেষ্টা, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী এবং ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনারও দুই দলের নেতাদের সঙ্গে কথা বলেন।
আরও পড়ুন: ডাকসুর ২৮ পদে কারা কোনটিতে জয়ী
মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলেছে ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। ভোটের আচরণবিধি লঙ্ঘন এবং কারচুপির অভিযোগ ওঠে ছাত্রদল, ইসলামী ছাত্রশিবির ও বাগছাসের সমর্থিত প্যানেলের প্রার্থীদের পক্ষ থেকে।
নির্বাচনের দিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বহিরাগতদের প্রবেশ নিষিদ্ধ ছিল। বিএনপি ও জামায়াতের নেতাকর্মীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশপথগুলোতে অবস্থান নেন। ভোট চলাকালে বিএনপির নেতাকর্মীরা প্রেস ক্লাব এলাকায় এবং জামায়াতের নেতাকর্মীরা শাহবাগ ও নিউমার্কেট এলাকায় অবস্থান নেন। শাহবাগের একপাশে বিএনপির নেতাকর্মীরাও ছিলেন।
সন্ধ্যার পর মহানগর ছাত্রদল বাংলামোটর এলাকা থেকে মিছিল নিয়ে শাহবাগের দিকে যায়। বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা নয়াপল্টনে অংশ নেন। জামায়াতও শাহবাগে অবস্থান ধরে রাখে, ফলে সংঘর্ষের আশঙ্কা তৈরি হয়।
এরপরই সরকারের পক্ষ থেকে বিএনপি ও জামায়াতের নেতাদের সঙ্গে কথা বলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
এসএ/