চট্টগ্রামে দাফনের ৪০ দিন পর গৃহবধূর লাশ উত্তোলন, শাশুড়ি গ্রেফতার
জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১১:৫৭ এএম, ১১ই সেপ্টেম্বর ২০২৫

চট্টগ্রামে গৃহবধূ আলফা শাহরিনকে (২৬) পরিকল্পিতভাবে হত্যার অভিযোগে দাফনের ৪০ দিন পর কবর থেকে লাশ উত্তোলন করা হয়। তদন্ত শেষে অবশেষে নিহতের শাশুড়ি বিবি আয়েশাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) রাতে কর্ণফুলী থানাধীন সুগার মিল এলাকার একটি ভাড়া বাসা থেকে তাকে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো. ওসমান।
আরও পড়ুন: বাবার দ্বিতীয় বিয়ের প্রতিবাদ করায় ছেলেকে হত্যা
এর আগে, গত ১৩ জুন সকালে বায়েজিদ থানার চালিতাতলী বাজারের মসজিদসংলগ্ন পারিবারিক কবরস্থান থেকে শাহরিনের মরদেহ উত্তোলন করে পিবিআই।
নিহত আলফা শাহরিন বায়েজিদ বোস্তামি থানার চালিতাতলী বাজারের দারোগা বাড়ির নুরুল করিমের মেয়ে। তার স্বামী হচ্ছেন পাচলাইশ হাদু মাঝি পাড়ার মৃত সিরাজুল মোস্তফার ছেলে মো. জাহেদুল মোস্তফা।
গত ৬ মে যৌতুকের টাকা না পেয়ে শাশুড়ি, ননদ ও দেবর মিলে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে—এমন অভিযোগ এনে নিহতের বাবা নুরুল করিম চট্টগ্রামের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এ একটি পিটিশন দায়ের করেন। আদালতের নির্দেশে মামলাটি তদন্ত শুরু করে পিবিআই।
মামলার অভিযোগ অনুযায়ী, গত ২৭ এপ্রিল বিকেলে আলফা শাহরিনের শাশুড়ি বিবি আয়েশা মোবাইল ফোনে নুরুল করিমকে জানায়—“রিকশার চাকায় ওড়না পেঁচিয়ে দুর্ঘটনা ঘটেছে।”
আরও পড়ুন: ডাকসুতে ছাত্রদলকে শুভেচ্ছা জানিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দেয়ার ঘটনায় ওসি প্রত্যাহার
খবর পেয়ে নুরুল করিম মেয়ের শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে বেডরুমে মুমূর্ষু অবস্থায় শাহরিনকে দেখতে পান। পরপর কয়েকটি হাসপাতালে নেওয়ার পর গত ২৮ এপ্রিল ভোরে চট্টগ্রাম মেডিকেল সেন্টারে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শাহরিন মারা যান। সেদিন দুপুরেই তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
তবে দাফনের আগে মরদেহ গোসল করাতে গিয়ে এক নারী শাহরিনের শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন দেখতে পান এবং তা নিহতের বাবাকে জানান। এরপর থেকেই পরিবারের সন্দেহ আরও ঘনীভূত হয়।
তদন্তে হত্যার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর বুধবার রাতে মূল আসামি ও নিহতের শাশুড়ি বিবি আয়েশাকে গ্রেফতার করেছে পিবিআই। বাকি আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
আরএক্স/