বগুড়ার শেরপুরে দুর্নীতির অভিযোগে ইউপি চেয়ারম্যান বরখাস্ত


Janobani

উপজেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৬:৩৭ পিএম, ১১ই সেপ্টেম্বর ২০২৫


বগুড়ার শেরপুরে দুর্নীতির অভিযোগে ইউপি চেয়ারম্যান বরখাস্ত
ছবি: সংগৃহীত

বগুড়ার শেরপুরের শাহ-বন্দেগী ইউনিয়নে নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির আলো একসময়ের জনপ্রিয় স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান মো. আবুল কালাম আজাদের রাজনৈতিক পথচলা থেমে গেল অভিযোগের ঘূর্ণাবর্তে। দুর্নীতি ও অনিয়মের প্রমাণ মেলায় তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেছে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়।


বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জারি হওয়া প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, আগামী রবিবার থেকে এই আদেশ কার্যকর হবে।


আরও পড়ুন: ২১৪ বছরেও স্কুলে নেই নতুনত্বের ছোঁয়া, ছাদ থেকে খসে পড়ছে কংক্রিট


প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে, ইউনিয়ন পরিষদের বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন না করা ও নানা ধরনের আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরে আসছিল চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। জেলা প্রশাসকের সুপারিশে গঠিত তদন্ত কমিটি অভিযোগের সত্যতা পায়। এরপর স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন ২০০৯-এর ৩৪(৪)(খ) ও (ঘ) ধারায় তাকে বরখাস্ত করা হয়।


প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদের কর্মকাণ্ড শুধু ইউনিয়ন পরিষদ নয়, জনস্বার্থেরও পরিপন্থী। তাই কর্তৃপক্ষের অনুমোদনে জনস্বার্থে অবিলম্বে এই পদক্ষেপ নেওয়া হলো।


আরও পড়ুন: জয়পুরহাটে মাদ্রাসায় নিয়োগে জালিয়াতি: ৯ লাখ ১৪ হাজার ১৫০ টাকা বেতন–ভাতা ফেরতের নির্দেশ


শেরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশিক খান সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, “বৃহস্পতিবার দুপুরে আমরা প্রজ্ঞাপন হাতে পেয়েছি। আগামী রবিবার থেকে তা কার্যকর হবে।”


উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ১১ নভেম্বর দ্বিতীয় দফার ইউপি নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জয়ী হন আবুল কালাম আজাদ। পাশাপাশি তিনি বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের বগুড়া জেলা শাখার সহ-সভাপতির দায়িত্বও পালন করছিলেন।


আরও পড়ুন: মান্দায় ভিমরুলের কামড়ে প্রতিবন্ধী যুবকের মৃত্যু


কিন্তু নির্বাচনের পরপরই তার বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতা ও দুর্নীতির অভিযোগ তুলতে থাকেন ইউপি সদস্যরা। সচিবের রাজনৈতিক ঘনিষ্ঠতার কারণে তারা দীর্ঘদিন প্রকাশ্যে প্রতিবাদ করতে পারেননি।


এর আগে, ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে ইউনিয়নের ৮ জন ইউপি সদস্য একযোগে তার বিরুদ্ধে ১ কোটি ৩০ লাখ টাকা লুটপাটের লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। দীর্ঘ তদন্ত শেষে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো।


এএস