গরু কুরবানি না দেয়ার আহ্বান ভারতীয় মুসলিম নেতার
নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১:৪৬ পিএম, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২

আসন্ন ঈদে ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের গরু কুরবানি না দেওয়ার আহবান জানিয়েছেন ভারতের আসামরাজ্য জমিয়ত উলেমার সভাপতি তথা এআইইউডিএফ দলের সুপ্রিমো সাংসদ বদরুদ্দিন আজমল।
রবিবার (৩ জুলাই) আসামের হাইলাকান্দিতে সংবাদ মাধ্যমের কাছে এ মন্তব্য করে সাংসদ বলেন, ইসলাম ধর্মে যে কোনও প্রাণীকে কষ্ট না দেওয়ার কথা উল্লেখ রয়েছে। আর যেহেতু ভারতে সংখ্যাগুরু সম্প্রদায়ের লোকজন একটি পবিত্র ও পূজনীয় জন্তু হিসেবে দেখেন তাই ইসলাম ধর্মাবলম্বী লোকদের গরুর পরিবর্তে অন্য পশুর কুরবানি দেওয়া উচিত।
এদিকে সভাপতি বদরুদ্দিন আজমলের স্বাক্ষরিত জমিয়ত উলেমার পক্ষ থেকে এক প্রেস বিবৃতি জারি করে একই বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, কুরবানি সামর্থবান মুসলমানের জন্য অবশ্য পালনীয় কতর্ব্য এবং এই কুরবানির জন্য উট, ছাগল, গর, মহিষ, ভেড়া ইত্যাদি জন্তু ব্যবহার করার নিয়ম রয়েছে। কিন্তু ভারত একটি বিভিন্ন জাতি, জনগোষ্ঠী ও একাধিক ধর্মাবলম্বী লোকের দেশ। এই দেশের অধিকাংশ লোক সনাতন ধর্মাবলম্বী। সনাতন ধর্মে গরু একটি পূজনীয় জন্তু। গরুকে এই দেশের সংখ্যাগুরু মানুষ মাতৃসম জ্ঞান করেন।
এতে আরও বলা হয়, গরুকে দেশের সংখ্যাগুরু মানুষ মাতৃসম জ্ঞান করার জন্য ২০০৮ সালে ভারতের সর্ববৃহৎ ইসলামিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দারুল উলুম দেওবন্দ ঈদ- উল আজহার কুরবানি পর্বে গরুর ব্যবহার না করার জন্য একটি আবেদন জানিয়ে ছিল।
এই আবেদনে বলা হয়েছিল যেহেতু কুরবানি গরুই দিতে হবে বলে তেমন কোনও বাধ্য বাধকতা নেই। এবং যেহেতু গরুর সঙ্গে এদেশের সংখ্যাগুরু মানুষের ধর্মীয় আবেগ জড়িত রয়েছে, তাই কুরবানির ঈদে বিকল্প জন্তুর ব্যবহার করা প্রয়োজন।
জমিয়ত বলেছে, সে জন্য আসন্ন কুরবানির ঈদে যে জন্তু ব্যবহার করলে আমাদের পবিত্র ধর্মীয় কর্তব্য অাদায় হয় এবং কারও অনুভূতিতে আঘাত না লাগে, সেই জন্তু ব্যবহার করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়।
এসএ/