টিভির লাইসেন্স পেলেন এনসিপি ও নাগরিক কমিটির ২ নেতা

অন্তর্বর্তী সরকার সম্প্রতি দুটি নতুন টেলিভিশন চ্যানেলের লাইসেন্স অনুমোদন দিয়েছে। অনুমোদন পাওয়া চ্যানেলগুলোর নাম ‘নেক্সট টিভি’ এবং ‘লাইভ টিভি’। এই উদ্যোগ তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে দেওয়া হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
‘নেক্সট টিভি’-এর লাইসেন্স ২৪ জুন অনুমোদন দেওয়া হয়। এটি ৩৬ মিডিয়া লিমিটেড নামে একটি প্রতিষ্ঠানের আওতায় পরিচালিত হবে। প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরিফুর রহমান তুহিন, যিনি বর্তমানে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। অফিসের ঠিকানা পুরান ঢাকার গেন্ডারিয়ার করাতিটোলা লেন।
অন্যদিকে, ‘লাইভ টিভি’-এর অনুমোদন ১৪ জুলাই দেওয়া হয়েছে। এর মালিকানা মিনার্ভা মিডিয়া লিমিটেড নামে আরিফুর রহমানের প্রতিষ্ঠানের হাতে। অফিসের ঠিকানা ১৪৩ নম্বর সড়ক, গুলশান-১।
বিজ্ঞাপন
আরিফুর রহমান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট থেকে প্রায় ছয় বছর আগে পড়াশোনা শেষ করেছেন। ছাত্রজীবনে তিনি একটি ইংরেজি দৈনিকের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি ছিলেন। জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য থাকলেও তিনি এনসিপিতে যোগ দেননি।
লাইসেন্স পাওয়া এই দুই চ্যানেল সম্প্রচারে যাওয়ার বিষয়ে তিনি জানান, “কাগজপত্র-সংক্রান্ত কিছু কাজ বাকি আছে। আশা করছি, আগামী বছর সম্প্রচারে যেতে পারব। বিনিয়োগের অর্থের জন্য আমার সঙ্গে বিনিয়োগকারী রয়েছেন।”
এ ছাড়া, অন্তর্বর্তী সরকার একটি আইপি টিভি (ইন্টারনেট প্রটোকল টেলিভিশন)-কেও অনুমোদন দিয়েছে। এর নাম ‘চেঞ্জ টিভি প্রেস’, যার প্রতিষ্ঠাতা সাংবাদিক আমিরুল মোমেনীন।
বিজ্ঞাপন
উল্লেখ্য, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের ১৫ বছরে ২৮টি টেলিভিশন লাইসেন্স দেওয়া হয়েছিল। অধিকাংশ লাইসেন্স পেয়েছেন সরকার-ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী, সাংবাদিক ও রাজনীতিবিদরা। একই প্রক্রিয়ায় নতুন দুটি চ্যানেল অনুমোদন পেয়েছে।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানান, আগের প্রথা অনুযায়ী নতুন চ্যানেলের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে এবং সুনির্দিষ্ট নীতিমালা প্রণয়নের কাজ এখনও প্রক্রিয়াধীন।
বিজ্ঞাপন
বর্তমানে দেশে অনুমোদিত ৫০টি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল রয়েছে। এর মধ্যে মাত্র ৩৬টি চ্যানেল পূর্ণ সম্প্রচারে, বাকি ১৪টি সম্প্রচারের অপেক্ষায়। এছাড়া অনুমোদিত আইপি টিভি আছে ১৫টি, আর নতুন লাইসেন্স প্রাপ্ত চ্যানেলগুলোও শিগগিরই সম্প্রচারে যোগ দিতে পারে।