শেখ হাসিনার মামলায় মাহমুদুর রহমানের জেরা আবারও বুধবার

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের প্রথম দিনের জেরা সম্পন্ন হয়েছে। তবে জেরা শেষ না হওয়ায় আগামীকাল বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) পুনরায় তার জেরা অনুষ্ঠিত হবে।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল এ দিন ধার্য করেন। ট্রাইব্যুনালের অন্য দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ এবং অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
এদিন সকাল পৌনে ১২টা থেকে মাহমুদুর রহমানের সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। এরপর সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী মো. আমির হোসেন তাকে জেরা করেন। জেরা অসম্পূর্ণ থাকায় ট্রাইব্যুনাল কার্যক্রম মুলতবি করে বুধবারের দিন নির্ধারণ করে।
বিজ্ঞাপন
প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম, গাজী এমএইচ তামিমসহ আরও অনেকে।
গত বছরের জুলাই-আগস্ট মাসে সংঘটিত হত্যাযজ্ঞ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় শেখ হাসিনা, আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করা হয়। ইতিমধ্যে মামলায় বিভিন্ন সময়ে ৪৬ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য রেকর্ড করা হয়েছে।
এর আগে, মামলার অন্যতম আসামি থেকে রাজসাক্ষী হওয়া সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন এবং শেখ হাসিনা ও কামালের নির্দেশে জুলাই-আগস্টে হত্যাযজ্ঞ পরিচালনার কথা স্বীকার করে ক্ষমাও চেয়েছেন।
বিজ্ঞাপন
ট্রাইব্যুনালে আনীত আনুষ্ঠানিক অভিযোগের মোট পৃষ্ঠা ৮ হাজার ৭৪৭। এর মধ্যে তথ্যসূত্র দুই হাজার ১৮ পৃষ্ঠা, জব্দ তালিকা ও দালিলিক প্রমাণ চার হাজার পাঁচ পৃষ্ঠা এবং শহীদদের তালিকার বিবরণ রয়েছে দুই হাজার ৭২৪ পৃষ্ঠায়। মামলায় সাক্ষী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে মোট ৮১ জনকে।
গত ১০ জুলাই আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। পাঁচটি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে বিচার কার্যক্রম চলছে।
বিজ্ঞাপন
শহীদ পরিবার এবং প্রত্যক্ষদর্শীরা সাক্ষ্যে জানিয়েছেন, জুলাই-আগস্টে দেশজুড়ে সংঘটিত হত্যাযজ্ঞ ছিল পরিকল্পিত। এর দায়ী হিসেবে অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন তারা।
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন