জাতিসংঘের প্রতিবেদনকে ঐতিহাসিক ঘোষণা করে পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ

জুলাই–আগস্ট গণঅভ্যুত্থান চলাকালে সংঘটিত হত্যা ও নির্যাতন নিয়ে জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশনের প্রতিবেদনকে ‘ঐতিহাসিক রিপোর্ট’ হিসেবে আখ্যা দিয়ে সেই বিষয়ে দেওয়া হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করা হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
বুধবার (১৯ নভেম্বর) রায়টি সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে উন্মুক্ত করা হয়।
আইনজীবী মো. তানভীর আহমেদের করা রিটের ওপর শুনানি শেষে বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি সৈয়দ জাহেদ মনসুরের দ্বৈত বেঞ্চ এ রায় প্রদান করেন।
বিজ্ঞাপন
গত বছরের আগস্টে হাইকোর্ট জাতিসংঘ মানবাধিকার কার্যালয়ের প্রতিবেদনটিকে ‘ঐতিহাসিক দলিল’ হিসেবে ঘোষণা করেন। একইসাথে প্রতিবেদনটিকে ‘জুলাই বিপ্লব–২০২৪’ নামে সরকারি গেজেটে প্রকাশ করার নির্দেশও দেওয়া হয়।
রায়ে বলা হয়, এই প্রতিবেদন শুধু মানবাধিকার লঙ্ঘনের তথ্যই ধারণ করে না; ভবিষ্যৎ গবেষণা, সচেতনতা বৃদ্ধি এবং আইনগত প্রয়োজনে এটি একটি মূল্যবান নথি। তাই জাতীয় আর্কাইভ, সরকারি পাবলিক লাইব্রেরি ও অন্যান্য সংরক্ষণাগারে এটি সংরক্ষণ করতে হবে।
এছাড়া সরকারি ওয়েবসাইটে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে যাতে সাধারণ মানুষ সহজে এক্সেস পায়—এমন নির্দেশও দিয়েছে আদালত।
বিজ্ঞাপন
হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণে বলা হয়, গণঅভ্যুত্থানের সময় মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাগুলো রাষ্ট্রের ঐতিহাসিক দলিল হিসেবে সংরক্ষণ জরুরি। একটি স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক রাষ্ট্র গঠনে এসব নথি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
রায়ের পূর্ণাঙ্গ কপি প্রকাশের মাধ্যমে ঘটনাটির আইনি এবং সামাজিক গুরুত্ব আরও স্পষ্টভাবে সামনে এসেছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।








