বন্য হাতির আতঙ্কে ঘুম নেই এলাকাবাসির!


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:৪৬ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২


বন্য হাতির আতঙ্কে ঘুম নেই এলাকাবাসির!

রাঙ্গামাটি জেলার রাজস্থলী উপজেলার বাঙ্গালহালিয়া ইউনিয়ন ও বান্দরবান সদর উপজেলার রাজভিলা ইউনিয়নের সীমান্তে ইসলামপুর এলাকায় গত ৮-১০ দিন ধরে ৭-৮টি বন্য হাতির আতঙ্কে ঘুম নেই এলাকাবাসির চোখে। দিনে এক জায়গায় চুপ করে বসে থাকলেও সন্ধ্যা নামলেই এক পাড়া থেকে অন্য পাড়াতে চষে বেড়েছে হাতির দল। এতে এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। 

১ নং ওয়াডের ইউপি সদস্য মোঃ এমদাদুল হক মিলন বলেন, “গত বৃহস্পতিবার হতে বন্য হাতিগুলো প্রথমে পাইন্দং পাড়া ও বালুমুড়া মারমা পাড়ার মাঝখানে অবস্থান করছিলো। হঠাৎ করে গত ৮-১০ দিন ধরে বালুমুড়া, শামসুল টিলা, ঝাংকাপাড়া, হাকিমপুর মোড়ে অবস্থান করছে। গভীর রাতে আশ-পাশের পাড়ায় এসে গাছ পালা ভাংচুর করেছে। এতে এলাকায় দিনমজুর লোকজন কোন কাজকর্ম করতে পারছেনা।”

রাজভিলা ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য মোঃ বাদশা আলঙ্গীর বলেন, “গত কয়েকদিন ধরে বন্য হাতির আতঙ্কে পাড়ার লোকজনের ঘুম হারাম হয়ে পড়েছে। সন্ধ্যা নামলেই পাড়ার বিভিন্ন স্থানে মোড়ে মোড়ে আগুন জ্বালিয়ে ও আতোষ বাতি ফুটিয়ে রাত কাটাতে হচ্ছে।”

রাজভিলা রেঞ্জের রেঞ্জ কর্মকর্তা বাবুল খীসার সাথে আলাপ কালে তিনি জনবাণীকে বলেন, “ঘঠনাস্থলে বনবিভাগের কর্মচারীদের পাঠানো হয়েছে। ঘটনাস্থলে যেয়ে দেখা যায় বন্য হাতি গুলোর মাঝে ছোট কয়েকটা বাচ্চাও রয়েছে। তারা বের হওয়ার রাস্তা পাচ্ছেনা। যে দিক দিয়ে বেড় হতে চায় সে দিকেই জনগণ বাঁধা দিচ্ছে। তাই হাতি গুলো তাড়ানোর পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। তবে হাতি পালিত হাতি হতে পারে বলে মনে হচ্ছে।”

উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা ইউএনও শান্তনু কুমার দাস জনবাণীকে বলেন, “বন্য হাতি গুলো সরানোর পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য বন বিভাগকে জানানো হয়েছে।”

বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোঃ নুরুল ইসলাম জনবাণীকে বলেন, “বন্য হাতি সরকারি সম্পদ। প্রাণীগুলো রক্ষা করতে সকলকে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি আরো বলেন, বন্য হাতি দাড়া কেহ ক্ষতিগ্রস্ত হলে সরকারি ভাবে সহযোগিতা করবেন।”

বন্য হাতি কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোঃ নুরুল ইসলাম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন রাজস্থলী রেঞ্জ কর্মকর্তা মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান, ইউপি সদস্য এমদাদুল হক মিলন, রাজভিলা ইউপি সদস্য বাদশা আলঙ্গীর, রাজভিলা রেঞ্জের কর্মচারীগন উপস্থিত ছিলেন।

এসএ/