হেমায়েতপুর পুলিশ ফাঁড়ির সংস্কার ও উদ্বোধন, পুলিশ সুপারের নতুন উদ্যোগ
জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৯:৩০ অপরাহ্ন, ৬ই জুলাই ২০২৫

পাবনা জেলার হেমায়েতপুর পুলিশ ফাঁড়ির সংস্কার ও পূর্ণনির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে।
রবিবার (৬ জুলাই) দুপুর ১২টায় এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। জেলা পুলিশ সুপার মোঃ মোরতোজা আলী খান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ফাঁড়িটির উদ্বোধন করেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন হেমায়েতপুর পুলিশ ফাঁড়ির অফিসার ইনচার্জ মোঃ তারিকুল ইসলাম।
পুলিশ সুপার তাঁর বক্তব্যে বলেন, “আমি হেমায়েতপুর পুলিশ ফাঁড়ি পরিদর্শন করে দেখি, এটি ছিল অত্যন্ত জরাজীর্ণ ও নিরাপত্তার দিক থেকে অপ্রতুল। তখনই আমি ইনচার্জকে এর উন্নয়নের নির্দেশনা দিয়েছিলাম। আজ আমরা দেখতে পাচ্ছি একটি আধুনিক ও সুসজ্জিত পুলিশ ফাঁড়ি, যা এই এলাকার আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।”
তিনি আরও বলেন, “স্থানীয় ব্যবসায়ীরা এই কাজের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে যুক্ত হয়ে যে সহায়তা করেছেন, তা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। এটি পুলিশ-জনগণ অংশীদারিত্বের একটি উজ্জ্বল উদাহরণ।”
উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় স্থানীয় বিশিষ্ট ব্যবসায়ীরা অংশগ্রহণ করেন। বক্তৃতা করেন আলহাজ্ব গোলাম রব্বানী কামনা, ডায়ানিকসান এনার্জি প্রাঃ লিঃ-এর জেনারেল ম্যানেজার মোঃ জহুরুল ইসলাম, রাজার মোবিল ফিল্টার-এর চেয়ারম্যান মোঃ আফজাল হোসেন রাজা সহ আরও অনেকে।
বক্তব্যে তাঁরা জানান, এই ফাঁড়ি পুনর্নির্মাণে যুক্ত হয়ে তাঁরা গর্বিত এবং ভবিষ্যতেও পুলিশের পাশে থাকার অঙ্গীকার করেন।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ শরিফ, যিনি বলেন, “হেমায়েতপুর ফাঁড়ি শুধু একটি পুলিশ স্থাপনা নয়, এটি পাবনা সদরের প্রাণ। এখানে রয়েছে বিসিক শিল্প নগরী, দেশের অন্যতম মানসিক হাসপাতাল, শ্রী শ্রী অনুকূল ঠাকুরের আশ্রম এবং ১০০ মেগাওয়াটের সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্র—যেগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এই ফাঁড়ির গুরুত্ব অপরিসীম।”
পাবনা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আব্দুল ছালাম জানান, “আমি একসময় এই ফাঁড়িতে দায়িত্ব পালন করেছি। এটি শ্রী শ্রী অনুকূল ঠাকুরের আশ্রম কর্তৃক প্রদত্ত জমিতে নির্মিত এবং পাশেই পুলিশ সদস্যদের আবাসনের জন্য আরও ৭ শতাংশ জমি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।”
ফাঁড়ির অফিসার ইনচার্জ মোঃ তারিকুল ইসলাম বলেন, “এই ফাঁড়ির উন্নয়নের মাধ্যমে আমরা একটি নতুন অধ্যায় শুরু করলাম। আমাদের লক্ষ্য, স্থানীয় জনগণের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রেখে একটি শান্তিপূর্ণ ও নিরাপদ হেমায়েতপুর গড়ে তোলা।”
তিনি আরও বলেন, “সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি স্থানীয় ব্যবসায়ীদের অকুণ্ঠ সহযোগিতা আমাদের কাজকে সহজ করেছে। আমি তাঁদের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।”
অনুষ্ঠান শেষে ফাঁড়ি চত্বরে একটি মতবিনিময় সভা ও সৌহার্দ্যপূর্ণ আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
এ ধরনের নাগরিক-পুলিশ সহযোগিতা দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে আরও কার্যকর ও মানবিক করে তুলবে—এমনটাই প্রত্যাশা করছে স্থানীয় জনগণ।