শিশু মেয়েকে রেখে পরকীয়া প্রেমিকের বাড়িতে অনশন


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:৪৬ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২


শিশু মেয়েকে রেখে পরকীয়া প্রেমিকের বাড়িতে অনশন

কথায় আছে প্রেমের মরা জলে ডোবে না। রাজশাহীর বাঘায় দুই সন্তানের জননী বিয়ের দাবিতে এক কিশোরের বাড়িতে অনশন করেছে। ঘটনাটি  ঘটেছে উপজেলার মনিগ্রাম ইউনিয়নের মহদিপুর পণ্ডিত পাড়া এলাকায়।   

জানা যায়, গত ২৬ শে জুলাই রাত ৮ টায় কিশোর প্রেমিক নাঈমের বাড়িতে অনশনে বসেন ওই গৃহবধূ। ওই গৃহবধূর দুইটি কন্যা সন্তান আছে। বড় মেয়েটির বয়স ৬ বছর ও ছোট মেয়ের বয়স ২ বছর ৬ মাস।

ওই গৃহবধূ বলেন, ‍“একই এলাকায় বাড়ি হওয়ায় নাইমের সাথে অনেক আগেই পরিচয় ছিল। কিন্তু গত রোজার ঈদের কিছুদিন আগে থেকে নাইমের সাথে আমার ফোনে কথা বলা শুরু হয়। ঈদের কিছুদিন পর থেকে প্রেমের সম্পর্ক হয়। এরপর থেকে আমাদের প্রতিনিয়ত কথা হয়। একপর্যায়ে সে একদিন আমার সাথে ইমোতে কথা বলার সময় আমার কিছু আপত্তিকর ছবি চাই। আমি সরল মনে দিই।  এরপর সেই ছবি দিয়ে নাঈম আমাকে ব্লাকমেইল করে এবং তার সাথে শারিরিক সম্পর্ক করতে হবে। কোথায় করবে জানতে চাইলে নাঈম বলে, তোমার স্বামীকে ঘুমের ঔষধ খাওয়াও। আমি আমার আব্বু –আম্মুকে ম্যানেজ করবো। তার কথা মতো তার দেওয়া ঘুমের ঔষধ আমার স্বামীকে খাইয়ে সেই রাতে তার বাড়িতে আসি এবং সেই দিন আমাদের শারিরিক সম্পর্ক হয়। এরপর থেকেই নাইম আমাকে বিয়ে করবে এবং আমার মেয়ের দায়িত্ব নেবে বলে আশ্বাস দেয়। তার কথা মত গত ২৬ জুলাই রাত ৮ টার দিকে আমি নাঈমের বাড়িতে অবস্থান নেই।  এসে জানতে পারি নাঈম বাড়িতে নেই।”

এখন সে কি চাই এমন প্রশ্নের উত্তরে সাংবাদিকদের বলেন, “সে (নাঈম) না আশা পর্যন্ত আমি এখানেই অনশন করবো। এবং আমার সাথে যা ঘটেছে এর সুষ্ঠু বিচার চাই আমি।”

ওই গৃহবধুর স্বামী মোঃ সাগর আলী বলেন, “আমাকে যে ঘুমের বড়ি খাওয়াতে পারে সে আমাকে বিষ খাওয়াতেও পারে। তাই আমি তাকে আর আমি ফিরিয়ে নেব না।”

এদিকে নাঈমের বড় বোন সালমা খাতুন বলেন, “ওই মেয়েটি যখন আসে তখন তার সাথে ৮/১০ জন ছেলে আসে। তারা আমাদের বাড়ির সামনের ইটের পাচির ও গেট ভেঙ্গে ওই মেয়েকে আমাদের বাড়ির ভেতর ঢুকিয়ে দেয়।” 

তিনি আরো বলেন, “আমাদের বাড়িতে একটি বড় ছাগল ছিল সেটি কে বা কারা ওই সময় নিয়ে চলে গেছে।”

মনিগ্রাম ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ সাইফুল ইসলাম জনবাণীকে বলেন, “ঘটনাটি শোনার পর সেখানে সকালে আমি গিয়েছিলাম। ওই গৃহবধুকে ছেলের বাড়ির লোকদের জিম্মায়  রেখে এসেছি। এবং সেই ছেলেকে হাজির করতে বলে এসেছি। সে আসলে একটা সমধান করা হবে। ” 

ওই এলাকার ইউপি সদস্য মোঃ মোজাম্মেল হক বলেন, “আমি বিষয়টি জানার পর চেয়ারম্যানকে অবগত করি এবং থানাকে জানায়।”

এবিষয়ে বাঘা থানার ওসি মোঃ সাজ্জাদ হোসেন জনবাণীকে বলেন, “বিষয়টি জানার পরে ফোর্স পাঠায়। যেহেতু তাদের এটি পারিবারিক ব্যাপার তাই স্থানীয় ভাবে সমাধান করতে বলা হয়েছে। আর যদি তারা লিখিত অভিযোগ করে তাহলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

এসএ/