পঁচাত্তরের খুনিদের পুরস্কৃত করেছিলো জিয়াউর রহমান: কাদের


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:৪৬ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২


পঁচাত্তরের খুনিদের পুরস্কৃত করেছিলো জিয়াউর রহমান: কাদের

পঁচাত্তরের খুনিদের পুরস্কৃত করেছিলো জিয়াউর রহমান বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। 

শনিবার (৬ আগস্ট) জাতীয় জাদুঘর মিলনায়তনে বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৯২তম জন্মদিন উপলক্ষে ‘প্রেরণাদায়িনী মা’ শীর্ষক শিল্পকর্ম প্রদর্শনীর আগে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক উপ-কমিটি এ আয়োজন করে।

অনুষ্ঠানে বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমি আজ একটা প্রশ্ন করবো, আগস্ট এলে এ প্রশ্ন অনেকবার করেছি। জবাব পাইনি। ১৫ আগস্টের ঘটনায় জিয়াউর রহমান যদি জড়িত না থাকতেন, খুনিদের নিরাপদে বিদেশে পাঠানো, বাংলাদেশের বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরি কে দিয়েছিলো? জিয়াউর রহমান।’

তিনি বলেন, ‘পলাশীর মীর জাফরের জায়গায় খন্দকার মোশতাক। সোনাপতি ইয়ার লতিফ, রায় দুর্লভের জায়গায় জিয়াউর রহমান। কেন পঁচাত্তরের খুনিদের পুরস্কৃত করা হলো। এ পশ্নের জবাব বিএনপি কোনো দিনও দিতে পারবে না। খুনিদের বিচার বন্ধে ইনডেমনিটি অডিয়েন্সকে সংবিধানের ৫ম সংশোধনীতে অন্তর্ভুক্ত করেছিল তাদের নেতা জিয়াউর রহমান।’

সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘বন্দুকের নল থেকে যাদের জন্ম, বঙ্গবন্ধু হত্যার নেপথ্যের মাস্টার মাইন্ড, তারাই ২১ আগস্ট শেখ হাসিনাকে প্রাইম টার্গেট করে গ্রেনেড হামলা করেছিল। কীভাবে এদের সঙ্গে রাজনীতি করবো। কর্ম সম্পর্কের দেয়াল তো তারাই তুলেছে।’

তিনি বলেন, ‘বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব শুধু জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিণী ছিলেন না, ছিলেন সহযোদ্ধা ও সহকর্মী। নীরবে রাজনৈতিক সহকর্মী। নীরবে রাজনীতির সহযোদ্ধা। বঙ্গমাতার তিন পুত্রকে হত্যা করা হয়েছিল ভবিষ্যতে রাজনীতি করবে বলে, সেজন্যই এ হামলা। কিন্তু আমি জানতে চাই, বেগম মুজিব তো সক্রিয় রাজনীতি করেননি। তিনি কেন হত্যাকাণ্ডের শিকার। নয় বছরের শিশু সন্তান শেখ রাসেল কেন হত্যাকাণ্ডের শিকার। কি অপরাধ তাদের?’

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন- আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক উপ-কমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক আব্দুল খালেক, শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক শামসুন নাহার চাঁপা, অধ্যাপক নাসরীন আহমাদ, চিত্রশিল্পী হাশেম খান, ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি, শিক্ষা ও মানবসম্পদ উপ কমিটির সদস্য বদিউজ্জামান সোহাগ প্রমুখ।

ওআ/