পুত্রবধুর স্বীকৃতির দাবীতে কলেজ ছাত্রীর অনশন


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:৪৬ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২


পুত্রবধুর স্বীকৃতির দাবীতে কলেজ ছাত্রীর অনশন

বরগুনার তালতলীতে পুত্রবধুর স্বীকৃতি দাবীতে শ্বশুড় বাড়িতে গত ১৫ দিন ধরে অবস্থান নিয়েছেন বরিশাল হাতেম আলী কলেজের ডিগ্রি শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী কারিমা আক্তার। কারিমার সাথে প্রেমের সম্পর্ক সৌদি প্রবাসী একই উপজেলার রাসেলের। চলতি বছরের ৩১ মে রাসেল সৌদি থেকে দেশে আসে। ৭ জুলাই বরগুনায় আ্যাডঃ আমিনুল ইসলামের মাধ্যমে ৫ লক্ষ টাকা দেনমোহরে হলফনামা করে কারিমাকে বিয়ে করে।

স্বামীর পরিবারের মানবিক নির্যাতন সহ্য করে ওই ছাত্রী রাসেলের বাড়ীতে এখনও অবস্থান করছে। ঘটনাটি আপোষ মীমাংসা করার নামে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল ৫০/৬০ হাজার টাকায় রাসেলের বাবার সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে বলে জানা গেছে। শনিবার (৬ আগষ্ট) সন্ধা পর্যন্ত বিষয়টি সমাধান হয়নি। 

তালতলী  উপজেলার বড়বগী ইউনিয়নের নয়াভাইজোড়া গ্রামে। পুত্রবধুর স্বীকৃতির দাবীতে অবস্থান নেয়া মেয়েটি একই উপজেলার পার্শ্ববর্তী নিশানবাড়ীয়া ইউনিয়নের ইউনুচ মৃধার মেয়ে। 

কারিমা জনবাণীকে জানান, ‍“নয়াভাইজোড়া এলাকার আনোয়ার হোসেনের ছেলে সৌদি প্রবাসী রাসেলের সাথে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইমুতে বিভিন্ন সময় কথা বার্তা হয়। এক পর্যায় উভয়ের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। দীর্ঘ দুই বছরেরও বেশী সময় তাদের সম্পর্ক চলে। এরপর বিদেশ থেকে মে মাসের ৩১ তারিখে রাসেল বাংলাদেশে আসে। ভালোবাসা আর প্রেমকে প্রতিষ্ঠিত করতে জুন মাসের ৭ তরিখ রাসেল আমাকে বরগুনা জেলা নোটারী পাবলিকের মাধ্যমে রেজিষ্ট্রি বিয়ে হয়। বরগুনা ও ঢাকা সহ বিভিন্ন স্থানে স্বামী-স্ত্রী হিসাবে সময় কাটায়। ২১ জুলাই রাসেল বিয়ের বিষয়টি তার পরিবারকে জানালে তারা আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করাসহ অভিবাবকরা আমাকে মারধর করে। মারধরের পর থেকেই আমার স্বামী নিখোঁজ রয়েছে। তার সন্ধান না পাওয়া পর্যন্ত আমি শ্বশুর বাড়ী থেকে যাব না।”

রাসেলের বাবা আনোয়ার হোসেন জনবাণীকে বলেন, “কোনভাবেই ঐ মেয়েকে আমার পুত্রবধু হিসেবে মেনে নেয়া সম্ভব নয়। মেয়েটির একটি পা নেই প্রতিবন্ধী তাতেও কোন সমেস্যা নয়। সমস্যা হলো মেয়েটির সাথে কয়েকটি ছেলের ছবি আমরা দেখেছি। আর ঐ মেয়েটিকে বগীর একটি ছেলে তার স্ত্রী বলে আমাদের কাছে দাবী করছে। তাহলে এই মেয়েকে আমরা কিভাবে আমার ছেলের পুত্র বধু হিসেবে মানবো? এই ছবি দেখে আমার ছেলে পহেলা আগষ্ট অভিমান করে আবার বিদেশে চলে গেছে। তাই এই মেয়েকে পুত্রবধু হিসেবে মানা অসম্ভব।”  

তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জনবাণীকে বলেন, “বিষয়টি আমি শুনেছি,তবে কোন অভিযোগ পাইনি। আমি খোঁজ নিচ্ছি।”

এসএ/