ফেসবুক ব্যবহারে শিক্ষা ক্যাডারদের সতর্কবার্তা জারি
নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১:৪৬ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারে সরকারি প্রতিষ্ঠান এবং কর্মচারীদের করণীয় ও বর্জনীয় নির্ধারণ, সরকারি প্রতিষ্ঠানে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের কার্যকর ব্যবহার নিশ্চিত করতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ 'সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার সংক্রান্ত নির্দেশিকা-২০১৬’ প্রণয়ন করে। এ নির্দেশিকা অনুযায়ী বেশ কিছু বিষয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করা যাবে না।
সতর্কবার্তায় বলা হয়, দেখা যাচ্ছে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের কিছু সদস্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তাদের ব্যক্তিগত ওয়ালে বা বিভিন্ন গ্রুপে সহকর্মী, অধ্যক্ষ এবং ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ও কর্তৃপক্ষের নেওয়া সিদ্ধান্তের বিষয়ে অশোভন, অনৈতিক, শিষ্টাচার বহির্ভূত ও উসকানিমূলক বক্তব্য দিচ্ছেন। এতে শিক্ষা ক্যাডার, মাধ্যমিক ও শিক্ষা অধিদপ্তর এবং মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে। এ ধরনের কর্মকাণ্ড সরকারি কর্মচারী আচরণ বিধিমেলা-১৯৭৯, সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা-২০১৮, সরকারি চাকরি আইন-২০১৮, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮ এবং মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারসংক্রান্ত নির্দেশিকা-২০১৬-এর পরিপন্থী।
বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের যেসব সদস্য ক্যাডারের নাম ব্যবহার করে গ্রুপ খুলেছেন, সব গ্রুপের সব গ্রুপ অ্যাডমিনকে গ্রুপে কনটেন্ট বা পোস্ট অনুমোদনের ক্ষেত্রে সরকারি আইন বা বিধি প্রতিপালনের নির্দেশনা দেওয়া হলো।
এতে আরও বলা হয়, বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তারা যেসব প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আছেন, সেসব প্রতিষ্ঠানপ্রধান নির্দেশিত বিষয়টি মনিটর করবেন এবং বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের কোনো ব্যক্তি কোনো কনটেন্ট বা পোস্টে সংক্ষুব্ধ হলে বা পোস্ট প্রদানকারীর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরে আবেদন করবেন।
এ অবস্থায় বিশেষ সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তাদের উল্লিখিত কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হলো। অন্যথায় তাদের বিরুদ্ধে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হব।
আরএক্স/