চুনারুঘাটে দ্রব্যমূল্যের দাম আকাশছোঁয়া


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:৪৬ পিএম, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২


চুনারুঘাটে দ্রব্যমূল্যের দাম আকাশছোঁয়া

হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে লাগামহীন দ্রব্য মূল্যের দাম বৃদ্ধিতে বিপাকে উপজেলার ক্রেতা সাধারণ। পৌরশহরসহ উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজারে বেড়েছে দ্রব্য মূল্যের দাম। মাছ বাজার, কাঁচা বাজার, মশলাদির বাজারসহ যাবতীয় দ্রব্য মূল্যের দাম আকাশছোঁয়া। জনসাধারণের হতাশার যেন শেষ নেই। প্রতিটি পণ্য কেজিতে ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে  করে সংসার পরিচালনা করতে হিমসিম খাচ্ছে নিন্মআয়ের মানুষ । 

সোমবার (২২আগস্ট) সরেজমিনে বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সয়াবিন তেল ১৮৫ টাকা লিটার, মশুরি ডাল ১১০ টাকা কেজি, পেয়াজ ৩৫ টাকা কেজি, রসুন ৬০ টাকা কেজি, পোলট্রি মোরগ ২০০ টাকা কেজি, পোলট্রি ডিম ৫০ টাক হালি, হাঁসের ডিম ৭০ টাকা, আস্ত মরিচ ৪০০ টাকা কেজি, মরিচ গুড়ো ৪০০ টাকা কেজি, হলুদ গুড়ো ২০০ টাকা কেজি, কাঁচা মরিচ ২৪০ টাকা কেজি, চিনি ৯০ টাকা কেজি, বড় মাছ ৪০০ টাকা কেজি, কাতল মাছ ৫০০ টাকা কেজি, ছোট মাছ ২০০ টাকা কেজি । আব্দুল মজিদ নামে এক ক্রেতা জানান, এক সপ্তাহ পূর্বে  বড় মাছ কিনেছি ২২০ টাকা কেজি কিন্তু এখন এই মাছ ৪৫০ টাকা কেজি। পূর্বে সয়াবিন তেল কিনেছি ১২০ টাকা লিটার, কিন্তু এখন ১৮০-১৯০ টাকা লিটার করে কিনতে হচ্ছে। 

এভাবে দ্রব্য মূল্যের দাম বাড়তে থাকলে আমরা কিভাবে জীবন ধারণ করব। এছাড়া প্রতিটি সেক্টরে পন্যের দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ায় নিন্মবিত্ত, মধ্যবিত্ত ও নিন্মবিত্তের পরিবারের মানুষ দিন দিন আরো অসহায় হয়ে পড়েছে। বাজার করতে আসা রিকশা চালক বশির উদ্দিন জানান, গত সপ্তাহে পোলট্রি মোরগ ১২০ টাকা কেজি কিনেছি, বাজারে এসে আমি দেখি মোরগ ২০০ টাকা কেজি। তিনি  আরো জানান, মোরগের দাম বেশি হওয়ায় ছোট মাছ ১৮০ টাকা দিয়ে এক কেজি মাছ কিনে নিয়েছি। 

এভাবে দাম বাড়তে থাকলে বাচ্ছাদের মাছ মাংস খাওয়াতে পারবোনা। কোনোরকম ডাল - ডিম দিয়েই চালিয়ে নিচ্ছি। বশির মিয়া জানান, আমার পরিবারে ৬ জন সদস্য, আমি ভাড়ায় মালিকের রিকশা চালাই। সকাল থেকে সন্ধা পর্যন্ত যা ইনকাম করি, দুইশত টাকা মালিককে দিতে হয়। এমতাবস্থায় নিত্যপন্যের দাম বাড়াতে সামনের দিনগুলোতে সংসার কিভাবে চলবে জানিনা। তিনি আরো জানান, আমাদের কান্না দেখার মতো কেউ নেই। বাজার  সংশ্লিষ্টদের সাথে যোগাযোগ করতে গেলে তারা জানান, জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধিতে তার  প্রভাব অন্যান্য খাতসহ সরাসরি নিত্যপন্যের বাজারে এসে পড়েছে। 

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সিদ্ধার্থ ভৌমিক জানান, বাজারে দ্রব্য মূল্যের দাম বৃদ্ধিতে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পৌরশহরসহ উপজেলার সকল বাজার মনিটরিং করা হচ্ছে। 

আরএক্স/