আটোয়ারীতে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় মূল আসামি গ্রেপ্তার


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:৪৬ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২


আটোয়ারীতে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় মূল আসামি গ্রেপ্তার

সম্প্রতি পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলায় কথিত প্রেমিকের প্রতারণায় এক স্কুলছাত্রীকে (১৬) সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় মূল আসামি মো. হাসানকে(২৫) বৃহস্পতিবার (২৫ আগষ্ট) রাতে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।ওই ধর্ষণের শিকার স্কুলছাত্রীর বাড়ি তেতুঁলিয়া উপজেলায়। 

আটোয়ারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকতা(ওসি) সোহেলরানা বলেন ‘শুক্ররবার (২৬ আগস্ট) দুপুরে গ্রেপ্তারকৃত কথিত প্রেমিককে কোর্টে  সোর্পদ করা হয়েছে। আদালতে রিমান্ড চাওয়া হবে বলে জানান তিনি।  

জানা যায় বৃহস্পতিবার  (২৫ আগষ্ট) সন্ধ্যায় আটোয়ারী উপজেলা ফায়ার সার্ভিস কার্যালয় সংলগ্ন পঞ্চগড়-আটোয়ারী সড়ক থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।ওই স্কুল ছাত্রী  ৬ আগস্ট আটোয়ারী উপজেলার ভারতীয় সীমান্ত ঘেঁষা পুরাতন আটোয়ারীর-বন্দরপাড়া এলাকার একটি বাগানে এই দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়। প্রতারক প্রেমিক  মো. হাসান আটোয়ারী উপজেলার ধামোর ইউনিয়নের মালগোবা এলাকার বাসিন্দা। ধর্ষণ এই মামলার এজাহারভুক্ত আরও চারজন এখনও পলাতক রয়েছে। পুলিশ জনায় ধর্ষণের এ ঘটনায় মোট তিনজন গ্রেপ্তার হলেন।পুলিশ জানায় এ ঘটনার অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

মামলার বাকি আসামিরা হলেন আটোয়ারী উপজেলার ধামোর ইউনিয়নের ফুতেপুর এলাকার সবুজ (৩০), পুরাতন আটোয়ারীর আমিনুল ইসলাম ওরফে ডিপজল (২৭), শ্রী অমর (৩৫) ও নজরুল ইসলাম (৪০)। এই চার আসামি পলাতক।মামলার এজাহার ও দুই আসামির জবাবন্দি অনুযায়ি প্রায় বছর খানে আগে মোবাইল ফোনে পরিচয় পরে হাসানের প্রেমের প্রতারণায় পড়ে ওই স্কুলছাত্রী এরপর ৬ আগস্ট বিকেলে মুঠোফোনে হাসান ওই স্কুলছাত্রীকে ঘুরতে যাওয়ার কথা বলে পঞ্চগড় শহরে ডেকে আনেন। পরে ওই ছাত্রীকে নিয়ে হাসান তাঁর বন্ধু মো. রাজুসহ মোটরসাইকেলে বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে সন্ধ্যার পর একটি বাগানে নিয়ে যান। ওই বাগানে মেয়েটিকে ধর্ষণ করেন মো. হাসান। এ সময় কিছু দুরে ছিলেন হাসানের বন্ধু মো. রাজু (১৯)। স্থানীয় মো. সবুজ (৩০) নামের এক যুবক দেখে ফেললে মোটরসাইকেলে সেখান থেকে পালিয়ে যান হাসান ও রাজু। 

একপর্যায়ে সবুজসহ স্থানীয় পাঁচজন ওই স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণ করেন। ঘটনার পরদিন ধর্ষণের শিকার স্কুলছাত্রীর বাবা আটোয়ারী থানায় সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। ওইদিনই আটোয়ারীর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে পুলিশ মো. রাজু (১৯) ও সাইফুল ইসলাম (৪৮) নামের দুজনকে গ্রেপ্তার করে।এরপর ৮ আগস্ট গ্রেপ্তার হওয়া আসাীম রাজু ও সাইফুল ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেয়।

আরএক্স/