বিকালে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বসবেন চা-শ্রমিকরা


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:৪৬ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২


বিকালে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বসবেন চা-শ্রমিকরা

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার কালীঘাট চা বাগানে মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে চলমান আন্দোলন নিয়ে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করছেন চা শ্রমিকেরা।চা শ্রমিকদের ৩০০ টাকা মজুরির দাবিতে ১৪তম দিনের মতো ধর্মঘট চলছে। 

শুক্রবার (২৬ আগস্ট) বেলা ২টা পর্যন্ত শ্রীমঙ্গলের বিভিন্ন চা বাগান ঘুরে ঘুরে তেমন দেখা মেলেনি শ্রমিকদের। বেশির ভাগ শ্রমিকই বাড়িতে রয়েছেন। তবে বিভিন্ন জায়গায় শ্রমিকদের একত্রিত হয়ে সমাবেশ করার কথা রয়েছে।

শ্রমিকদের ৩০০ টাকা মজুরির দাবিতে ৯ আগস্ট থেকে চার দিন দুই ঘণ্টা করে কর্মবিরতি ও পরে ১৩ আগস্ট থেকে সারা দেশে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘট পালন করে আসছেন চা শ্রমিকরা।

কিছু দিন আগে প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করে বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটি নেতারা। পরে ধর্মঘট প্রত্যাহার করলেও সেটা মানছেন না সাধারণ চা-শ্রমিকেরা। আন্দোলন সফল করতে সড়ক, মহাসড়ক, রেলপথ অবরোধ করতে দেখা গেছে তাঁদের। বাগানের সাধারণ চা-শ্রমিকেরা তাদের দাবি আদায়ে গত কয়েক দিন ধরে বেশ উত্তাল ছিল। এরই মধ্যে গতকাল রাতে খবর আসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, চা বাগানের মালিকদের সঙ্গে সভা করবেন। (শনিবার ২৭ আগস্ট)  বিকেল চারটার সময় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে এ সভা হবে বলে নিশ্চিত করেছেন প্রধানমন্ত্রীর সহকারী প্রেস সচিব এম এম ইমরুল কায়েস।

শ্রীমঙ্গলের ভাড়াউড়া চা বাগানের নারী চা শ্রমিক সবিতা হাজরা বলেন, ১২০ টাকা মজুরি আর সামান্য রেশন দিয়ে খেয়ে না খেয়ে জীবন কাটে আমাদের। ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার খরচ বেড়েছে। বাজারে সব ধরনের জিনিসের দাম বেড়েছে। এই অবস্থায় মজুরি বৃদ্ধির জন্য এত দিন ধরে আন্দোলন করতেছি আমরা। 

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মালিকদের কাছ থেকে আমাদের জন্য ভালো মজুরি এনে দেবেন। আমরা আর কারও ওপরে বিশ্বাস নেই আমার বিশ্বাস করি না। সবাই আমাদের নিয়ে খেলে। শুধু প্রধানমন্ত্রীকেই আমরা বিশ্বাস করি।

গত বৃহস্পতিবার, চলমান সংকট নিরসনে শ্রীমঙ্গস্থ বিভাগীয় শ্রম দপ্তরে শ্রম অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোঃ নাহিদুল ইসলামের আহ্বানে বৈঠকে বসেন বেশ কয়েকজন বাগান পঞ্চায়েত নেতারা। সেখানে জেলা, উপজেলা ও থানা প্রশাসনের শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। কোনো ধরনের সিদ্ধান্ত ছাড়াই বৈঠকটি শেষ হয়।

বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক বিজয় হাজরা বলেন, আমরা সবাই প্রধানমন্ত্রীর মুখের দিকে তাকিয়ে রয়েছি। প্রধানমন্ত্রী যে সিদ্ধান্ত নেবেন, সাধারণ চা শ্রমিকেরা সেই সিদ্ধান্ত মেনে নেবেন। এ জন্য অবশ্যই সবকিছু বিবেচনা করে একটি মানসম্মত মজুরি নির্ধারণ করবেন প্রধানমন্ত্রী আপনি। 


আরএক্স/