গ্রাম বাংলায় ঐতিহ্য হুক্কার সেই দিন আর নেই
নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১:৪৬ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২
খাওয়া-দাওয়া ঝালে,ঝালে হায়রে কলি, কালে বিলুপ্ত আমাগো গ্রাম বাংলার হুক্কা । ভাদ্র মাসে : এক সময় ছিল ঐতিহ্য গ্রাম বাংলার মানুষের ধুমপানের একমাত্র সম্বল ছিল নারকেলের শক্ত চক্লা গোলাকৃতি খোলস, কাঠ ও মাটির তৈরি কলকি দ্বারা নির্মিত সেই পুরনো দিনের হুক্কা। প্রয়োজন হতো তামাক,টিক্ক ও রাম মিঠাই ৷
বরিশাল বিভাগে জেলার গ্রামগুলোতে কৃষক মাঠে-ঘাটে কাজের শেষে তৃপ্তি নিবারণের জন্য ঐতিহ্য বাহি হুক্কা সেবন করে আসত ৷
অন্যথায় বিভিন্ন মজলিসে আপ্যায়ণের প্রধান উপকরণ ছিল এই হুক্কা।বিশেষ করে কুয়াকাটা,আমতলী, তালতলী,বরগুনা ও পটুয়াখালী কৃষকের হুক্কা ছিল একমাত্র কাজের শেষে মন জুড়ানো প্রাণকেন্দ্র ।
সেই সাথে হারিয়ে গেছে গ্রাম অঞ্চলের কাচারী ঘর পূর্ব পুরুষের আমলে এই কাচারি ঘরে বিভিন্ন সালিশ দরবার ও বৈঠক আলোচনা হতো। সালিশ দরবারের মাঝে বাড়ির মোড়ল থাকতো প্রধান যে কিনা কথার ফাঁকে ফাঁকে হুকুম করত এক ছিলিম তামাক দাও গর গর শব্দ করে চারপাশে সুগন্ধি ছড়িয়ে যেত । গ্রাম বাংলার কৃষকরা পাখির কিচিরমিচির আওয়াজে ঘুম ভেঙে যেত লাঙ্গল, জোয়াল ও গোয়ালের গরু নিয়ে বের হয়ে যেত মাঠে-ঘাটে ৷ রোদ-বৃষ্টি অক্লান্ত পরিশ্রমের মাঝে বিশ্রাম এর ফাঁকে হুক্কা সেবন করে প্রাণ জুড়িয়ে যেতো ৷ তবে পুরনো দিনের সেই লাঙ্গল, জোয়াল, মই ও চংজ্ঞা কই।
নতুন প্রজন্মের দিনগুলোতে বৈদেশিক বিড়ি, সিগারেটের প্রভাবে হুক্কা ব্যবসায় এত বড় ধস নেমেছে।
আরএক্স/