‘যেকোনো প্রয়োজনে পুলিশের উপর আস্থা রেখে থানায় আসুন’


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:৪৬ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২


‘যেকোনো প্রয়োজনে পুলিশের উপর আস্থা রেখে থানায় আসুন’

জামালপুর জেলার পুলিশ সুপার নাসির উদ্দিন আহমেদ স্যারের নির্দেশনায় সরিষাবাড়ী পুলিশ নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন সরিষাবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ মহব্বত কবীর । 

রবিবার (২৮ আগস্ট) দুপুরে তিনি জনবাণীকে বলেন মাদক,সন্ত্রাস,ইভটিজিং,বাল্যবিবাহ ও অসামাজিক কার্যকলাপ বন্ধের ক্ষেত্রে কোনো ছাঁড় দেওয়া হবে না।  সত্যিকারের অর্থে মাদক হচ্ছে আমাদের একটি জাতীয় সমস্যা। মাদক, ইভটিজিং, বাল্যবিবাহ ও গুজব হচ্ছে সমাজের জন্য ভয়ানক ব্যাধি। 

এসবে যে বা যারা আক্রান্ত হচ্ছে, তাদের সুন্দর জীবন অকালেই ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। আর এ সমস্যা থেকে আমাদের পুলিশ সুপার নাসির উদ্দিন আহমেদ পিপিএম স্যার সবসময় মাদকের বিরুদ্ধে সোচ্চার রয়েছেন। তাঁর সুযোগ্য নেতৃত্বে পুলিশ প্রশাসন মাদক, সন্ত্রাস ও যেকোনো অপরাধের বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযান পরিচালনা করছে। অপরাধী যত বড়ই হোক না কেন, তাকে আইনের আওতায় আনতে আমরা নিয়মিত পদক্ষেপ গ্রহণ করে যাচ্ছি। বাংলাদেশ পুলিশ সব সময়ই মাদকের বিরুদ্ধে মাদকের প্রতিকার সম্পর্কে আমরা বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে মানুষকে সচেতন করার চেষ্টা করছি। পাশাপাশি যে সমস্ত মাদক ব্যবসায়ী রয়েছে আমরা তাদের গ্রেফতার করছি। আমরা সার্বক্ষণিক সচেষ্ট আছি। কোন অভিযোগ পেলে তাৎক্ষনিক সেই ঘটনাস্থলে পৌছে সেই ঘটনার বিস্তারিত জেনে আমরা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করছি । 

মাদক ব্যবসা করছে এমন তথ্য পেলে আপনার ব্যবস্থা কি থাকবে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, অবশ্যই আমাদের বিট পুলিশিং আছে। তাদের মাধ্যমে আমরা তথ্য সংগ্রহ করি। কেউ যদি আমাদের তথ্য প্রদান করে তাহলে আমরা তার নাম গোপন রেখে সেই তথ্যের ওপর ভিত্তি করে পুলিশ প্রেরণ করি। তথ্যের সত্যতা যাচাই করে থাকি। আসলে সে মাদকের সাথে সম্পৃক্ত অথবা জড়িত আছে কিনা যাচাই করে আমরা প্রকৃত যারা দোশী তাদেরকে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে আমরা সব সময় সচেষ্ট থাকি। মাদককে ঠেঁকাতে হলে সবার আগে পরিবার থেকে শুদ্ধি অভিযান শুরু করতে হবে। নিজেদের সন্তানদের নিয়মিত বিদ্যালয়মুখী করতে হবে। তাদের পড়াশোনা করিয়ে মানুষের মতো মানুষ হিসেব গড়ে তোলে দেশ ও দশের সেবায় এগিয়ে আসতে হবে।

তিনি এ থানায় যোগদানের পর কয়টি মাদক মামলা হয়েছে প্রশ্ন করা হলে তিনি জনবাণীকে জানান, সরিষাবাড়ী থানায় যোগদানের পর এক মাসের মাথায় ২০ টির বেশি মাদক মামলার প্রায় ৫০ জন আসামীকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠিয়েছি। বিপুল পরিমাণ ইয়াবা  ও গাজা এবং হিরোইন উদ্ধার করেছি। এ ছাড়াও সরিষাবাড়ী থানা পুলিশ সাজাপ্রাপ্ত ওয়ারেন্টসহ আদালত থেকে যে সমস্ত আসামী গ্রেফতারের পরোয়ানা জারী করেছি সেই আসামী গুলাও গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছি। যোগদানের ১ মাসে যারা থানায় আসে,যারা ভুক্তভোগী, তারা কি ধরনের প্রতিকার পেয়েছে,  আমি মানুষকে কি সেবা দিতে পেরেছি আমি তার বিচারের ভার তাদের হাতেই তুলে দিলাম। পুলিশ প্রশাসন জনগণের সুখ-দুঃখে পাশে রয়েছে। তাই আপনাদের যেকোনো প্রয়োজনে পুলিশের উপর আস্থা রেখে থানায় আসুন। আমরা আন্তরিকতার সঙ্গে আপনাদের সকল সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করব।

বিট পুলিশিং এর কার্যক্রম নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি জনবাণীকে আরো বলেন, সত্যিকারের অর্থে আপনারা দেখুন আমরা বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিয়ে বাল্য বিবাহ, মাদক সহ বিভিন্ন সামাজিক অপরাধ রয়েছে সেই সমস্ত অপরাধ নিয়ে আমরা বিট পুলিশিং এর মাধ্যমে কথা বলছি। আমরা যে সমস্ত জায়গায় জাই সাধারণ মানুষের জন্য ও এ সরিষাবাড়ীর জন্য সেবার দার উন্মুক্ত থাকবে। যে কোন মানুষ তার অভিযোগ নিয়ে অফিসার ইনচার্জ এর সাথে মন খুলে কথা বলতে পারবে। তার দুঃখ ও বেদনা এববগ কষ্ট লাঘব এর জন্য আমরা ব্যবস্থা নিতে পারব। 

এ সরিষাবাড়ী থানা নিয়ে আপনার চিন্তা চেতনা কি প্রশ্ন করা হলে তিনি এ প্রতিবেদক মাসুদুর রহমানকে আরো বলেন, আসলে সত্যিকারের অর্থে বাংলাদেশ পুলিশের ইমেজ বৃদ্ধি এবং আমার ব্যক্তিগত ইমেজ বৃদ্ধি করার জন্য এবং মানুষের সেবার জন্য  আমি সরিষাবাড়ী থানাকে মডেল থানায় পরিণত করতে চাই। 

এ উদ্দেশ্য নিয়ে আমি সকল শ্রেণীর মানুষ, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্ধ এবং প্রতিটি জনগনের সহযোগিতা চাই। যার যার অবস্থান থেকে যদি সহযোগিতা না করে তাহলে  একক ভাবে আমি কোন কিছুই করতে পারব না। আমি একক ভাবে কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান নয়। আমার এ পথচলাই সঙ্গী সকল শ্রেণীর মানুষ  হবে এ আশাবাদ করি।সুন্দর, শান্তিপূর্ণ, মাদক এবং বাল্যবিবাহ মুক্ত সরিষাবাড়ী গঠনের জন্য সাধারণ মানুষের পাশে থেকে বাংলাদেশ পুলিশ সর্বাত্মকভাবে সহযোগিতা করে সুন্দর সরিষাবাড়ীকে উপহার দিতে চাই। 

আরএক্স/