আন্দোলনের নামে বিএনপি দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করেছে: কাদের
নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১:৪৬ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২
আন্দোলনের নামে বিএনপি দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি এবং সন্ত্রাসী কার্যক্রম শুরু করেছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, ‘গত সাত দশক থেকে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা জনগণের পাশে রয়েছে। কাজেই বিএনপির আন্দোলনের হুমকিতে আওয়ামী লীগ ভীত নয়।’
মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) সকালে তার বাসভবনে এক ব্রিফিংয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালেও মানুষকে শান্তি ও স্বস্তি দেয়নি, এখনো দিচ্ছে না। বিএনপির দুঃশাসনের ভয়াবহতা এখনো দেশ ও জাতি ভুলে যায়নি।
‘সরকার নাকি দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টির পায়তারা করছে’, বিএনপি নেতাদের এমন বক্তব্যের জবাবে সেতুমন্ত্রী বলেন, সরকার কেন নৈরাজ্য সৃষ্টি করবে, সরকার চায় জনগণের স্বস্তি ও স্থিতিশীলতা।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, স্বাধীনতাবিরোধী উগ্র সাম্প্রদায়িক শক্তিকে সঙ্গে নিয়ে বিএনপি আবারও দেশে নৈরাজ্য তৈরির অপপ্রয়াস চালাচ্ছে। তাদের কথিত আন্দোলনে জনসমর্থন না থাকায় তারা সন্ত্রাস নির্ভর হয়ে পড়েছে।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি আরেকটি ওয়ান-ইলেভেনের দুঃস্বপ্ন দেখছে। এ সময় জনগণের সম্পদ এবং স্বস্তি নিশ্চিতে বিএনপিকে সন্ত্রাস, নৈরাজ্যের পথ পরিহারের আহ্বান জানান মন্ত্রী।
কথা দিয়ে কথা না রাখা বিএনপির রাজনৈতিক চরিত্র এমন দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি যা বলেন, করেন তার বিপরীত। নির্বাচন, গণতন্ত্র, মানবাধিকার এবং ভোটধিকার নিয়ে কথা বলেন। অথচ এর সব কয়টি তাদের হাতে ভুলুণ্ঠিত হয়েছে। বিএনপির দ্বিচারিতা দেশের জনগণের কাছে স্পষ্ট।
সেতুমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন ও জনমুখী রাজনীতি বিএনপির রাজনৈতিক ভবিষ্যতকে অন্ধকারে ঠেলে দিয়েছে। তাই বিএনপি অগণতান্ত্রিক পথে ক্ষমতা দখলের পায়তারা করছে।
বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি কাকে বলে তা অতীতে প্রমাণ করতে পারেননি, আমরা রাজনৈতিকভাবে সকল কর্মসূচি মোকাবিলা করব।’ তিনি বলেন, কর্মসূচিতে সহিংসতার উপাদান যুক্ত হলে তা জনগণের জানমাল রক্ষায় সরকার কঠোরভাবে দমন করবে।
বিএনপির আন্দোলন মানে সহিংসতা, জনগণের সম্পদে আগুন দেওয়া, তাই তাদের কোনো অপকর্ম আওয়ামী লীগ বিনা চ্যালেঞ্জে ছেড়ে দেবে না বলে হুঁশিয়ারি দেন মন্ত্রী।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিশ্ব পরিস্থিতির চাপে যখন জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো হয়; তখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের পক্ষ থেকে পরিষ্কারভাবে বলা হয়েছিল, এই মূল্য বৃদ্ধি সাময়িক, সময় হলে মূল্য বৃদ্ধি সমন্বয় করা হবে। শেখ হাসিনা সরকার জনগণের দুঃখ-দুর্দশা বোঝেন বলেই বঙ্গবন্ধু কন্যা তেলের দাম কমিয়ে নজির সৃষ্টি করেছে।
ওআ/