অবাধে চলছে পাখি শিকার


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:৪৬ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২


অবাধে চলছে পাখি শিকার

হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে চলছে অবাধে পাখি শিকার। শিকারে বিলুপ্তির পথে দেশীয় পাখি। যেমন - বাবই পাখি, চড়ুই পাখি, ঘুঘু পাখি, মাছরাঙা পাখি, শালিক পাখি, কাঁঠঠোকরা পাখি, বাক পাখি, জাতীয় পাখি দোয়েল, কাকাতুয়া পাখি, কোয়েল পাখি ইত্যাদি। 

দিনদিন বেড়েই চলছে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অবাধে পাখি শিকার। শিকারীদের ফাঁদে এসব পাখি, শিকার ফাঁদ পেতে শিকার করা এসব পাখি ছোট বড় বিভিন্ন হাটবাজারে নিয়ে বিক্রয় করছে। 

জীবন আহম্মেদ নামে একজন বলেন, ১নম্বর গাজীপুর ইউপির ডুলনা গ্রাম এলাকায় একদল পাখি শিকারী বাক পাখি শিকার করে সাইকেল যোগাযোগে বিক্রয়ের জন্য বিভিন্ন হাটে নেবার সময় স্থানীয়রা তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে ভিডিও ভাইরাল করে। এনিয়ে চলে প্রতিবাদের ঝড়। এভাবে যদি দিনদিন পাখি শিকার হয়, তাহলে হারিয়ে যাবে এসব দেশীয় পাখি। 

মায়া খন্দকার বলেন, এই উপজেলা পাহাড়ি ঘেঁষা এলাকায় এবং বন্য প্রাণী ও পাখিদের বসবাসের উপযোগী স্থান। তারা এখানে আশ্রয়ের জন্য পাখি আসেন, কিছু অসাধু পাখি শিকারী ও এলাকার প্রভাবশালী লোকেরা বন্দুক হাতে নিয়ে বেড়িয়ে পড়েন পাখি শিকারে । এদিকে পাখি শিকারীরা পাখি শিকার করে উপজেলাসহ হবিগঞ্জ জেলার বিভিন্ন হাটবাজারে পাখি বিক্রয় করছেন। তা দণ্ডনীয় অপরাধ।

বাংলাদেশে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে বলা আছে, লাইসেন্স না নিলে সর্বোচ্চ এক বছরের কারাদণ্ড বা সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবার বিধান রেখে ‘পোষা পাখি ব্যবস্থাপনা বিধিমালা- ২০২০’ জারি করেছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। অবৈধভাবে পাখি শিকারী ব্যবসায়ীদের আটকের পর শাস্তির বিধান রেখে বন্য পাখি অবমুক্ত করা হচ্ছে দেশব্যাপী। 

বাংলাদেশে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী, পাখি ধরা, মারা এবং পোষা নিষেধ। গত কয়েকদিন আগে এক যুবক কয়েকটি বাবুই পাখি ও শালিক পাখি পিঞ্জিরায় করে চুনারুঘাট পৌরশহরে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বিক্রয় করতে দেখা যায় । 

অপরদিকে রেমা-কালেঙ্গা অভয়ারণ্য বন্যপ্রাণীর সংরক্ষিত এলাকায় দু'তিনজন লোক বন্দুক হাতে নিয়ে পাখি শিকার করতে দেখা গেছে। দিবা - রাত্রি শিকারীদের জালে শিকার হচ্ছে এসব পাখি। গ্রামগঞ্জে প্রায় সময়ই দেখা যেত এসব পাখি। 

এখন অবাধে পাখি শিকারে দিনদিন বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে এসব পাখি। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সিদ্ধার্থ ভৌমিক বলেন, পাখি শিকার ও বাজারজাতকরণ দণ্ডনীয় অপরাধ, শীঘ্রই পাখি শিকারীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।


আরএক্স/