পঞ্চগড়ে তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ: গ্রেফতার ২


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:৪৬ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২


পঞ্চগড়ে তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ: গ্রেফতার ২

মোবাইল ফোনে প্রেমের সূত্র ধরে পঞ্চগড়ের বোদায় এসে কথিত প্রেমিকসহ তার বন্ধুদের কাছে সংগবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন নরসিংদী জেলার এক তরুনী। গত শনিবার গভীর রাতে ওই তরুণী বোদা থানায় চার জনের নামসহ অজ্ঞাত আরও দুই/তিন জনকে আসামী করে মামলা করেছেন।
 মামলার পর অভিযান চালিয়ে কথিত প্রেমিক আব্দুল মালেকসহ তার সহযোগি আলমগীর হোসেনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গত শুক্রবার রাতে ধর্ষনের এই ঘটনায় গ্রেপ্তার দুই জনকে রোববার বিকালে পঞ্চগড়ের সিনিয়র জুডিশিয়াল মেজিস্ট্রেট অলরাম কার্জীর আদালতে হাজির করা হলে আদালতে তারা স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দেন। পরে আদালতের নির্দেশে তাদের জেল হাজতে পাঠানো হয়।

মামলার আসামিরা হলেন, বোদা উপজেলার সিপাইপাড়া এলাকার মহিদুলের ছেলে কথিত প্রেমিক আব্দুল মালেক (২৫), তার বন্ধু প্রসাদ খাওয়া এলাকার রহিদুলের ছেলে মো. আপন (২৫), আরেক বন্ধু একই এলাকার মকবুল হোসেনের ছেলে আশরাফুল ইসলাম (৩০) এবং বামনপাড়া এলাকার সামসুদ্দিনের ছেলে আলমগীর হোসেন (২২)। এদের মধ্যে বাকি দুইজন পলাতক রয়েছেন।

মামলার এজাহার ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, কথিত প্রেমিক আব্দুল মালেকের সাথে মোবাইল ফোনে প্রেমের সম্পর্ক হয় নরসিংদী জেলার ওই তরুনীর। প্রায় ৯ মাসের প্রেমের সূত্র ধরে মালেকের কথায় এবং বিয়ের আশ্বাসে গত শুক্রবার সন্ধায় পঞ্চগড়ের বোদায় চলে আসেন নরসিংদীর ওই তরুণী। পরে আলমগীর হোসেনের সহযোগিতায় মালেক বোদার প্রসাদ খাওয়া এলাকার একটি বাড়িতে তাকে নিয়ে যান। পরে ওই বাড়িতে আশরাফুল ও আপন নামে অন্য দুই তরুণ আসেন। বাড়িতে অন্য কোন লোক না থাকায় সেখানে মেয়েটি থাকতে রাজী হয়নি। বিয়ের জন্য রাতেই তাকে কাজী অফিসে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে পাশের একটি আম বাগানে নিয়ে মালেক, আপন ও আশরাফুল মেয়েটিকে ধর্ষণ করেন। এসময় ইজিবাইক চালক আলমগীর হোসেনসহ আরও দুই/দিন জন পাহাড়ায় ছিলেন। তবে মেয়েটির চিৎকার চেচামেচিতে স্থানীয়রা বাগানে টর্চলাইট নিয়ে এগিয়ে আসলে মেয়েটিকে রেখে পালিয়ে যান তারা।

বোদা থানা পুলিশের ওসি সুজয় কুমার রায় বলেন, মামলার পর প্রধান আসামী মালেক ও তার সহযোগী আলমগীরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ভিকটিমকে বহনকারী একটি ইজিবাইক জব্দ করা হয়েছে। গ্রেপ্তার দুইজন আদালতে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দিও দিয়েছেন। অন্য আসাসীদেও গ্রেপ্তারে অভিযান চালানো হচ্ছে। ইতিমধ্যে ধর্ষণের শিকার তরুণীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। খবর পেয়ে তাঁর অভিভাবকরা বোদা থানায় এসেছেন। তরুণীকে তাঁর পরিবারের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।

এম/কে