‘ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে অদিতাকে হত্যা করে রনি’


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৮:৪৩ পূর্বাহ্ন, ২৫শে সেপ্টেম্বর ২০২২


‘ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে অদিতাকে হত্যা করে রনি’

ইলিয়াস হোসাইন রিফাত, ঢাকা: নোয়াখালীর মাইজদীর লক্ষ্মীনারায়ণপুরে অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী তাসমিয়া হোসেন অদিতাকে (১৪) ধর্ষণ চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন কোচিং শিক্ষক আবদুর রহিম রনি। 

আজ শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় জেলার পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম প্রেস কনফারেন্সে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, দুপুরে ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন আসামি।

এসপি মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, রনি নামে এক যুবকের কাছে প্রাইভেট পড়ত নোয়াখালী সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী অদিতা। হঠাৎ করে অদিতা তার কাছে প্রাইভেট পড়তে অনীহা প্রকাশ করে এবং নতুন শিক্ষকের কাছে প্রাইভেট পড়তে শুরু করে। এতে রনি ক্ষুব্ধ হয়। এ বিষয়সহ অদিতার ব্যাপারে আরও বিস্তারিত জানার জন্য তাৎক্ষণিক রনিকে প্রথমে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়। তখন তার তুথনি ও ঘাড়ে নখের আঁচড়ের তাজা দাগ পাওয়া যায়। নখের আঁচড়ের বিষয়ে তাকে জিজ্ঞাসা করা হলে সে একেক সময় একেক তথ্য দিয়ে পুলিশকে বিভ্রান্তের চেষ্টা করে। আঁচড়ের ব্যাপারে কোনো সদুত্তর না পাওয়ায় তার বিষয়ে সন্দেহ আরও জোরালো হয়। তখন তাকে এ মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে ঘটনার রহস্য উদঘাটনের লক্ষ্যে আদালতে সোপর্দ করে ১০দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়।

আদালত রিমান্ড আবেদনের প্রেক্ষিতে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এরপর শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় তাকে রিমান্ডে নেওয়া হয়। রিমান্ডে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে রনি ঘটনার সঙ্গে নিজের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেন।    

এদিকে, গত বৃহষ্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) নোয়াখালী শহরের মাইজদীতে নোয়াখালী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী তাসমিয়া হোসেন অদিতাকে (১৪) গলাকেটে হত্যা করা হয়। নিহত শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধারের পরপর পুলিশের একাধিক দল পৃথক অভিযান চালিয়ে প্রধান আসামি সাবেক গৃহ শিক্ষক আবদুর রহিম রনি (২০), ইসরাফিল (১৪) ও তার ভাই সাঈদকে (২০) গ্রেফতার করে। শুক্রবার আদালত রনির ৩ দিনের মঞ্জুর করেন।

জেবি/ আরএইচ/